মনোময় ভট্টাচার্য।
পুজোর গানের শব্দ, ছন্দ, স্বর বদলে যাচ্ছে সময়ের রাস্তায়।
'এত যে বলছি তোমায় ভালবাসি, এত যে বলছি খুব কাছাকাছি...আসলে ভালবাসা নেই'
পুজোর গান এবং অবশ্যই সিডি। না এতে কোনো বদল নেই। ‘‘বদল ফরম্যাটে, গানের কথায়, ধরনে।আকাশ বলেছিল,বাবা এ বার আমাদের জন্য কিছু ভাব। তাই আজকের প্রজন্মের শব্দ, কণ্ঠ, সুর দিয়ে আশা অডিয়োর সঙ্গে পুজোর কাজ করলাম,’’—বলছেন মনোময় ভট্টাচার্য।
তাঁর প্রথম গান ‘এই শহরে’উপলের রচনা ইতিমধ্যেই অনলাইনে জনপ্রিয়।নিজেকে ছন্দে কথায় ভাঙতে চন্দ্রবিন্দু ঘরানার মেজাজ নিয়ে ফিরেছেন মনোময়। ‘উপলের থেকে শিখলাম কেটে কেটে গানের কথা বলার ধরন। কথার ওপর জোর দেওয়া, যা আমি হয়তো আগে করিনি। আমরা সুর নিয়ে বেশি ভাবতাম,’’—বললেন মনোময়।
অ্যালবামের চারটে গানের প্রত্যেকটার মধ্যেই অভিনবত্ব।
‘আমি সত্যি দিয়ে রোদ্দুর ছুঁতে চাই
আমি খুব নিকিয়ে স্বপ্ন ধুতে চাই’
শ্রীজাতের শব্দেরা ভিড় জমায় আকাশের সুরে।
আছে ‘শহর’-এর অনিন্দ্যর লেখা ‘ফেসবুক’নিয়ে গান। রথিজিৎ-এর সুরে কাওয়ালির ধাঁচে কৃষ্ণেন্দুর লেখা গান।
আরও পড়ুন, আব্রামের পাত্রী নাকি এখনই ঠিক হয়ে গিয়েছে…!
‘আসলে এখনকার গানে কেউ আর জোরালো কণ্ঠের ব্যবহার চায় না। এখন হাফ ভয়েস, হাস্কি টোনের যুগ। সেই ভেবেই এই গানের রেকর্ডিং করা। সোজা গান গাইতে হবে। গভীর গান গাওয়ার দিন চলে গেছে,’’— মনোময়ের গলায় কোথাও যেন বেছে উঠল হাল্কা সুরের অভিমান।
গানের সঙ্গে থাকছে ভিডিয়ো কারণ মনোময়ের বিশ্বাস,‘‘গান দেখে লোকে এখন গান শোনে।’’
একজন পারফর্মার হিসেবে সময়ের সঙ্গে চললেও বেসিক গানের পুজো অ্যালবামের চ্যালেঞ্জটা তিনি নিয়েছেন।
তাঁর গানের গল্প আর সুর এ বারের উৎসবে ভরে থাক।
(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের টাটকা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগে।)