Sreelekha Mitra

আমার প্রতিভাকে দমানোর চেষ্টা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে, সেই জেদ থেকেই ছবি বানানো

স্বামী ও স্ত্রীয়ের সম্পর্কেও কখনও কখনও যে কত তঞ্চকতা লুকিয়ে থাকে, তা বুঝেও না বুঝে থাকতে হয়। সেই সমস্ত বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাকেই তুলে এনেছেন কলমে। তাকেই সেলুলয়েডে আনার প্রস্তুতি চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৫১
Share:

শ্রীলেখা মিত্র

একটা জেদ ছিল শ্রীলেখা মিত্রর মনে। তিনি জানতেন, তাঁর প্রতিভা রয়েছে। কিন্তু তাঁকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন তাঁরই আশপাশের নানা ব্যক্তি। আর সেই জেদ আজ তাঁকে ফুঁড়ে বেরতে সাহায্য করল। নিজের কথা বললেন সেলুলয়ে়ডের মাধ্যমে। কাজ শুরু করলেন নতুন ছবির। নাম, ‘বিটার হাফ’। যেমন ভাবে একাধিক অর্থ নিয়ে ধরা দিয়েছে ছবির নাম, তেমনই ভাবে গল্পে রয়েছে সমাজ ও সম্পর্কের একাধিক আঙ্গিক।

Advertisement

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করলেন ক্ল্যাপস্টিকের ছবি। যাতে লেখা, ‘বিটার হাফ। পরিচালক- শ্রীলেখা মিত্র। ক্যামেরাম্যান- জয়দীপ বসু’। প্রথম বার পরিচালক হিসেবে কেমন অভিজ্ঞতা তাঁর? জানালেন আনন্দবাজার ডিজিটালকে।

শ্রীলেখা মিত্র চিরকালই কম কাজ করেছেন সেলুলয়েডে। অভিনেত্রী হিসেবে সফল হওয়া সত্ত্বেও তিনি কোনও দিন টাকার পেছনে ছোটেননি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ভাগ্য ভাল, অভিনেত্রী হিসেবে সফল হয়েও টলিউডে তত বেশি কাজ করিনি আমি। সুযোগ দেওয়া হয়নি আমায়। আর টাকা? চাইলে তো আমি মেগা সিরিয়ালে অভিনয় করতে পারতাম। কিন্তু করিনি একটাই কারণে। নিজের সমস্ত শক্তি, সময় খরচ করে ফেলব না বলে। মোটামুটি সচ্ছল জীবন চাই। অতিরিক্ত কিছুর আশা করি না আমি। অবসরে তাই পড়াশোনা করতে পেরেছি। ভাল ভাল ছবি দেখতে পেরেছি। ভাবতে পেরেছি।’’ আর সেখান থেকেই ছবির মাধ্যমে নিজের কথা বলতে পেরেছেন বলে মনে করছেন অভিনেত্রী।

Advertisement

প্রযোজক ইন্ডাস্ট্রির ভেতরের মানুষ নন। কিন্তু কোনও কার্পণ্য করেননি। শ্রীলেখার সঙ্গে ক্যামেরার পেছনে কাজ করেছেন ইন্দ্ররূপ ভট্টাচার্য এবং শুভব্রত চট্টোপাধ্যায়। এঁরা দু'জনেই ইন্ডাস্ট্রিতে বহু দিন ধরে কাজ করছেন। অভিনয়ে রয়েছেন ভরত কল, নবাগতা চান্দ্রী মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীলেখা নিজে। অভিনয় করা ছাড়াও অভিনেতা ভরত কল এই পুরো কাজটির সঙ্গে নানা ভাবে যুক্ত ছিলেন। তাঁর সহযোগিতার কথা উল্লেখ না করে পারলেন না অভিনেত্রী-পরিচালক।

ছবির নাম ও গল্প নিয়ে প্রশ্ন কর‍তে জানা গেল, অভিনেত্রীর আশপাশের বিভিন্ন সম্পর্ক নিয়েই গল্পটি তৈরি হয়েছে। 'বেটার হাফ' শব্দটার অর্থ আমরা জানি, জীবনসঙ্গী। কিন্তু এক স্বামী ও স্ত্রীয়ের সম্পর্কেও কখনও কখনও যে কত তঞ্চকতা লুকিয়ে থাকে, তা বুঝেও না বুঝে থাকতে হয়। শ্রীলেখা জানালেন, "আমি জানি, এই দু'টি মানুষের সম্পর্কে আর কিছু বাকি নেই। কিন্তু তাও তাঁরা সমাজমাধ্যমে যে ভাবে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি দেন, তা আশ্চর্যজনক!" এ ছাড়াও আর একটি উদাহরণ দিলেন শ্রীলেখা। এ রকম একাধিক দম্পতিকে তিনি চেনেন, যাঁরা নিজেদের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে বড়াই করতে ভালবাসেন। কিন্তু মহিলার স্বামীর চরিত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রয়েছে শ্রীলেখার। অথবা স্ত্রীয়ের বিবাহবহির্ভূত বিভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু স্বামীর কাছ থেকে দামি গয়নাটি নিতে ভোলেন না। আর সেখানেই বোঝা যায় ‘বেটার হাফ’-এর সঙ্গে সম্পর্কটা আসলে তিক্ত। তাই নাম দেওয়া হয়েছে, ‘বিটার হাফ’। সেই সমস্ত বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাকেই তুলে এনেছেন কলমে। তাকেই সেলুলয়েডে আনার প্রস্তুতি চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন