কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজের জীবন্ত ‘গোপাল’ কন্যা কৃষভি। ছবি: সংগৃহীত।
‘কৃষভি’ নামের সঙ্গে জুড়ে আছেন শ্রীকৃষ্ণ। একই সঙ্গে দয়ালু, পবিত্র, শুভ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ— কৃষভি শব্দের এই সব অর্থও রয়েছে। কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ দু’জনেই কৃষ্ণভক্ত। তাই এই নাম। একমাত্র কন্যার নামকরণের পরে এ কথা একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তাঁরা। শনিবার, জন্মাষ্টমীর দিন আনন্দবাজার ডট কমকে শ্রীময়ী জানিয়েছেন, এ দিন সন্ধ্যায় মেয়ে ‘গোপাল’ সাজে সাজবে।
মাথায় মুকুট, হাতে বাঁশি, পরনে হলুদ ধুতি, নীল উত্তরীয়, গা ভরা গয়না-- এ দিন এই বিশেষ সাজে ধরা দেয় কৃষভি। যেন, কাঞ্চন-শ্রীময়ীর জীবন্ত ‘গোপাল’! তাঁর কথায়, “বড় হয়ে গেলে আর তো ছেলের সাজে সাজাতে পারব না। তাই এ বছর এ রকম ইচ্ছে।” প্রসঙ্গত, অন্নপ্রাশনের দিনেও কৃষভিকে মল্লিক পরিবার ‘গোপাল’ বেশেই সাজিয়েছিলেন।
শ্রীময়ীর কি তা হলে সুপ্ত বাসনা ছিল, তাঁর আরাধ্য দেবতার মতো সন্তান আসুক? ছেলে হবে, এমন ইচ্ছে ছিল নাকি? প্রশ্ন ছিল তাঁর কাছে।
সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন অভিনেত্রী। বলেছেন, “আমার মা বা চিকিৎসকেরও তেমনই ধারণা ছিল। আমি এত কৃষ্ণভক্ত, নিষ্ঠার সঙ্গে জন্মাষ্টমী পালন করি— সবটাই বুঝি ছেলে পাব বলে।” আসলে তা নয়। তাঁর শ্রীকৃষ্ণকে ভাল লাগে। তিনি ভালবাসেন তাঁর আরাধ্য দেবতাকে। তাঁর সেই রূপ, সেই সাজ দেখতে চান সন্তানের মধ্যে। তা সে কন্যা হোক বা পুত্র। এই কারণেই কৃষভিকে বারে বারে ‘গোপাল’-এর বেশে সাজান। শ্রীময়ীর সাফ দাবি, “আমি শুরু থেকে মেয়েই চেয়েছিলাম। ডাক্তারবাবুকেও জানিয়েছিলাম, আমার মেয়েই হবে। কৃষভিকে পেয়ে তাই খুব খুশি আমরা। ও আমাদের জীবনের সেরা উপহার।”
গত বছর অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন অভিনেত্রী। তাই জন্মাষ্টমী পালন করতে পারেননি। “ভিতরে জমে থাকা সেই ইচ্ছা এ বছর একসঙ্গে পূরণ করে নেব।” গৃহসহায়িকার সঙ্গে এ দিন তিনি নিজে হাতে রেঁধেছেন তাল ক্ষীর, তালের বড়া, তালের লুচি। এ সব ছাড়াও ভোগ হিসাবে থাকবে লুচি, ফ্রায়েড রাইস, আলুর দম, পনীর, ভাজা, চাটনি, সিমুইয়ের পায়েস, নানা স্বাদের চকলেট। আরাধ্য দেবতাকে সাজিয়ে সোনার গয়নায়। শ্রীময়ীর বাবার বাড়ি উত্তর কলকাতায়, শ্যামবাজারে। এ দিন তিনি সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘গোপাল’-এর জন্য পছন্দসই মিষ্টি আনতে।