শুভশ্রী থেকে করিনা কিংবা হরভজন— তারকাদের মিলিয়ে দিলেন মেসি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক।
লিয়োনেল মেসির ‘গোট’ সফরের শুরুটা হয়েছিল কলকাতা থেকে। আর সেই শুরুতেই বিপত্তি। ফুটবলতারকাকে ঘিরে ছবি তোলার হিড়িক নেতা-মন্ত্রী থেকে তারকাদের। যার ফলে বঞ্চিত সাধারণ দর্শক। বিশৃঙ্খলার জেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন মেসি। এই ঘটনার পর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। বাংলার অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় মেসির সঙ্গে তোলা ছবি দিতেই সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের বন্যা। স্ত্রীর অসম্মান মানতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ পরিচালক-স্বামী রাজ চক্রবর্তী। শুধু কলকাতা নয়, শিল্পা শেট্টী থেকে করিনা কপূর, শাহিদ কপূর সকলেই নাকি এমনই আচরণ করে থাকেন। তাই আয়োজক শতদ্রু দত্তের উদ্দেশে বার্তা দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটতারকা হরভজন সিংহ।
মেসির মতো ফুটবলতারকাকে নিয়ে উন্মাদনা থাকা যে স্বাভাবিক, সে কথাই যেন প্রমাণিত হল তাঁর কলকাতা সফরে। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, নেতা-মন্ত্রী থেকে তাঁদের স্ত্রী— সকলের একটাই ইচ্ছে, মেসির সঙ্গে অন্তত একটা ছবি!
যদিও কাউকে কাউকে সেই ছবি তোলার মূল্য দিতে হয়েছে। কেউ কেউ সেই একই কাজ করেও গা বাঁচাতে পেরেছেন। যেমন, অভিনেত্রী করিনা কপূর, শিল্পা শেট্টী, শাহিদ কপূর। মেসি মুম্বইয়ে তাজ হোটেলে ছিলেন। করিনা তাঁর দুই পুত্রকে নিয়ে পৌঁছে যান সেখানে। তেমন কোনও আলাপচারিতা নয়, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের সাক্ষাতে দুই পুত্রকে নিয়ে ছবি তুলেই বেরিয়ে যান তিনি। শিল্পা শেট্টী গিয়েছিলেন মাঠে, তাঁর পুত্র ভিয়ান কুন্দ্রাকে নিয়ে। মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে পেরে লেখেন, ‘‘আমার ছেলের স্বপ্নপূরণ হল।’’ শাহিদ কপূর তাঁর দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে পৌঁছে যান ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। অনেকক্ষণ মেসির নাম ধরে ডাকাডাকি করেন। শেষে দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে তারকার সঙ্গে ছবি তুলে স্বপ্নপূরণের কথা লেখেন।
ছেলে যুগকে নিয়ে মাঠে পৌঁছেছিলেন অজয় দেবগনও। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন তারকা হরভজন সিংহ যান অভিনেত্রী স্ত্রী গীতা বসরা এবং দুই ছেলেমেয়েকে সঙ্গে নিয়ে। তিনি নিজে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়। মেসির সাক্ষাৎ পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন হরভজন।
এই মুহূর্তে পুলিশি হেফাজতে থাকা শতদ্রু দত্তকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, এমন সুপরিকল্পিত ও নিরাপদ অনুষ্ঠানের জন্য হরভজন ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুম্বই পুলিশকে।