(বাঁ দিকে) সুদীপ মুখোপাধ্যায়, (ডান দিকে) পৃথা চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
সুদীপ মুখোপাধ্যায় এবং পৃথা চক্রবর্তীর দাম্পত্যজীবন নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। তাঁরা বিবাহবিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন। একা থাকছেন সুদীপ, দুই ছেলেকে নিয়ে পৃথক সংসার পৃথার। বিবাহবিচ্ছেদ হলেও দশমীর দিন শাঁখা-সিঁদুর পরেই দেবীবরণ করেন নৃত্যশিল্পী। তার পর থেকেই ধেয়ে এসেছে কটাক্ষ। পৃথার সাফ জবাব, ‘‘আমি আজীবন শাঁখা-সিঁদুর পরেই দেবীবরণ করব।’’ নেপথ্যের কারণও খোলসা করলেন তিনি।
সুদীপের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, কিন্তু বাবা-মা হিসাবে তাঁদের পরিচয়টা চিরকালের সঙ্গী। তাঁদের দুই পুত্র, বালি ও ঋদ্ধি। তাঁদের বাবা সুদীপের মঙ্গলকামনা করেই ফের সিঁদুর, শাঁখা পরে দেবীবরণ করেছেন পৃথা। এমনকি পৃথা এ-ও জানান, ভবিষ্যতে তিনি আবার বিয়ে করুন বা না-করুন, সারাজীবন এ ভাবেই সিঁদুরখেলায় মাতবেন।
পৃথা সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘আমি সিঁদুর, শাঁখা-পলা পরেছি। এটা আমার ইচ্ছে। আর কথাতেই আছে, বরণ করা মানে মঙ্গল চাওয়া। আমি দেবীদুর্গার কাছে বালি-ঋদ্ধির বাবার জন্য মঙ্গল চাইলে লোকের এত অসুবিধে হচ্ছে কেন? আমরা বালি-ঋদ্ধির বাবা মা, আর সেটা সারাজীবন থাকব।’’ পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, শাঁখা-পলা-নোয়া এ সব কেন বিবাহিত নারীরা পরেন, সেই প্রকৃত কারণ জানলে অনেকেই আর পরতে চাইবে না। যদিও সমাজমাধ্যমে যে ভাবে ক্রমাগত কটাক্ষ ও নেতিবাচক মন্তব্যের মুখে তাঁকে পড়তে হয়েছে, সেটা নাকি বেশ উপভোগ করেছেন পৃথা।