মহড়ায় শিল্পীরা, ইনসেটে সুজয়।
বাড়ি। যেখানে আরামের অবসর। যেখানে নিশ্চিন্তির যাপন। ছড়ানো বৈঠকখানা, গোছানো বেডরুম, পরিশ্রমের রান্নাঘর…। সব জায়গায় গল্পের বীজ বুনে চলে। কখনও ভেবেছেন এ ভাবে?
বাচিকশিল্পী সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য ভেবেছেন। ‘৩২ নম্বর অশ্বিনী দত্ত রোড’ প্রশ্রয় দেয় সুজয়ের গল্পের কারখানাকে।
আসলে এই ঠিকানা, অর্থাত্ এই বাড়ির বিভিন্ন ঘরকে সুজয় তাঁর নাটকের ব্যাকড্রপ হিসেবে ব্যবহার করছেন। নাটকের দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৪০ মিনিট। বিভিন্ন ঘরে থাকবেন শিল্পীরা। দর্শক এক ঘর থেকে আর এক ঘরে উঠে যাবেন গল্পের টানে। দর্শকদের ইনভলভ করে এই ধরনের নাটক বা শিল্প উপস্থাপনার আভিধানিক নাম ইমারসিভ থিয়েটার এক্সপিরিয়েন্স।
সুজয় বললেন, ‘‘দ্য হগ্টাউন কালেকটিভ’ নামে একটা ইমারসিভ থিয়েটারের এক্সপিরিয়েন্স আমার হয়েছিল টরেন্টোতে। সেই থিয়েটারের একটা নিজস্ব রাজনীতি ছিল। পুরনো মেয়রের বাড়ি। দুই পক্ষের ভোটারদের যুযুধান লড়াই। প্রায় তিন ঘণ্টার। চমত্কার বিষয়। সেটাই আমার অনুপ্রেরণা। দেখে মনে হয়েছিল কলকাতায় তো পাড়ায় পাড়ায় করতে পারি। আমার এক বন্ধুর বাড়িতে সেই আর্ট ফর্মটা নিয়ে কাজ করছি কাল, রবিবার। যাঁরা দেখবেন তাঁরাও একাত্ম হয়ে যাবেন। তিনটে শো হবে। চারটে, পাঁচটা এবং ছ’টায়।’’
আরও পড়ুন, ‘আমার দুর্গা’র পর কী করছেন সঙ্ঘমিত্রা?
২০১৮-র ডিসেম্বরে এই ধরনের কাজ প্রথম করেছিলেন সুজয়। ১৭ মার্চ তাঁর দ্বিতীয় প্রয়াস। এই নাটকের গান লিখেছেন মধুবন্তী বসু। তাঁর অন্য এক পরিচয় তিনি ‘অভিলাসা’ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অভিনয়ে অংশ নেবেন সুজয়ের এসপিসি ক্রাফ্টের সদস্যরা। এক অন্য রকম নাট্য প্রযোজনা এখন দর্শক প্রতীক্ষায়।
(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের টাটকা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগে।)