গৌরব-ঋদ্ধিমা
টলিউড
গৌরব
প্রতি বছর নিয়ম করে বেড়াতে যান গৌরব চক্রবর্তী। গত বছর গিয়েছিলেন আমেরিকা। সান ফ্রান্সিসকো, লস এঞ্জেলেস, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, লাস ভেগাস... ঘুরেছিলেন রোড ট্রিপে। সঙ্গে অবশ্যই ঋদ্ধিমা। এ বার বিদেশে যাচ্ছেন না। দু’-দু’টো নাটকের প্রোডাকশন আর একটা ছবির কাজে বেশ ব্যস্ত। গরমের শেষে যাবেন দিল্লি। ওখানে তাঁর দাদু-দিদা থাকেন। ঋদ্ধিমার মাসির বাড়িও সেখানে। সপ্তাহখানেক কাটিয়ে আসবেন দিল্লি। আর প্ল্যান করেছেন ধর্মশালা। ‘‘আগে কখনও ধর্মশালা যাইনি। ইচ্ছে আছে এ বার একটু ঘুরে আসব,’’ বলছিলেন গৌরব। বছরের শেষে বিয়ে, তাই দিল্লিতে কেনাকাটা তো হবেই। হাসতে হাসতে বলছিলেন, ‘‘এখন তো সব কেনাকাটাই বিয়ের কথা মাথায় রেখে।’’
পরমব্রত
গরমের সময়টায় নিয়ম করে বেড়াতে যান পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। অভিনয়-পরিচালনার ফাঁকে এটা তাঁর ‘মি টাইম’। কখনও সঙ্গী বান্ধবী ইকা বা অন্য বন্ধু। পছন্দের জায়গার তালিকায় সাধারণত ইউরোপই থাকে। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অ্যামস্টারডাম থেকে প্রাগ চুটিয়ে ঘুরছেন। পুরোদস্তুর ছুটির মেজাজে বললেন, ‘‘সারা বছরের অক্সিজেন সঞ্চয় করে নিই এই সময়টাতেই। পরপর অনেক বছর ধরে মে-জুন নাগাদ বে়ড়াতে যাচ্ছি। তাই আগে থেকে প্ল্যান করে নেওয়া থাকে।’’ ইউরোপ থেকে ফিরেই ব্যস্ত হয়ে যাবেন অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে আগামী ছবি ‘পরি’তে।
কনীনিকা
পায়ের তলায় সর্ষে বললেও কম বলা হয়! নেহাত এ বার মেগা সিরিয়ালে সই করে ফেলেছেন, নয়তো কলকাতার গরমকে টা-টা জানানোর প্ল্যান কনীনিকার থাকেই। একটু আক্ষেপের গলায় বললেন, ‘‘গত বার এই সময়টাতেই লন্ডনে ছিলাম। এখন আর লম্বা ছুটি নিতে পারব না। উইকএন্ড ট্রিপই ভরসা।’’ কিছু দিন আগেই দার্জিলিং ঘুরে এসেছেন। হানিমুনে গিয়েছিলেন নরওয়ে। নতুন নতুন জায়গা এক্সপ্লোর করাতেই কনীনিকার আনন্দ। স্বামী সুরজিতের সঙ্গে গত অক্টোবরেই গিয়েছিলেন ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন। বেড়ানোর জন্য কনীনিকার ইউরোপ পছন্দ হলেও, কাছের মানুষের সঙ্গে ছোটখাটো ট্যুরও মন্দ নয় তাঁর কাছে।
তনুশ্রী
বেড়াতে যাওয়ার জন্যই তনুশ্রী দিন-রাত পরিশ্রম করতে চান। যত ব্যস্তই থাকুন না কেন, বছরে ৩-৪ বার শহর ছেড়ে ছুট দেন। জ্বর গলায় বললেন, ‘‘আমেরিকা সফর সেরে কিছু দিন হল ফিরেছি। আবার মনে হচ্ছে লাস ভেগাসে চলে যাই। এমন জায়গা যে বারবার যেতে ইচ্ছে করে।’’ সুন্দর দেশ দেখা। সেখানকার সংস্কৃতি, খাওয়া, সাজ-পোশাক নিয়ে জানার মধ্যে একটা উন্মাদনা আছে বলে মনে করেন তনুশ্রী।
বলিউড
পরিণীতি
গিয়েছিলেন কাজের জন্যই। কিন্তু সেই ফাঁকে মিশরে ছোটখাটো একটা ভ্যাকেশনও সেরে ফেললেন পরিণীতি চোপড়া। ফেব্রুয়ারির কনকনে ঠান্ডায় ঘুরে বেড়িয়েছেন কায়রো, লুক্সর, অ্যাসওয়ানে। প্রথম দু’দিন ক্রুজেই মজা করে কাটিয়েছিলেন। তার পর সেখান থেকেই তাঁর দল নিয়ে গিয়েছিলেন আবু সিম্বেলের সান ফেস্টিভ্যালে। মিশরের ঐতিহ্যবাহী এই অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় হয় দেশ-বিদেশের পর্যটকদের। সেই ভিড়ে পরিণীতিও ছিলেন এক দর্শনার্থী।
সোনাক্ষী
ছোটবেলা থেকেই উড়ু উড়ু মন সোনাক্ষীর। নতুন নতুন জায়গা এক্সপ্লোর করার ইচ্ছে তাড়া করে বেড়ায় ‘দবং’-এর অভিনেত্রীকে। কিন্তু বাবা শত্রুঘ্ন সিংহর অদ্ভুত রোগ ছিল। বিদেশে ঘুরতে গেলে তিনি হোটেলের বাইরে পা রাখতেন না। তাই ছোটবেলায় ঘুরতে বেড়িয়েও ঠিক মন ভরত না সোনাক্ষীর। ঠিক করেছিলেন, কেরিয়ারে পা রাখা মাত্রই দেশ-বিদেশ চষে বেড়াবেন। খুঁজে খুঁজে দেখবেন না-দেখা কত কী! সেই হুজুগে এ বার সোনাক্ষীর গন্তব্য ছিল সিডনি। গত মাসেই বন্ধুদের সঙ্গে সিডনি সফর সেরে ফেললেন বড় পরদার ‘নুর’। প্ল্যান করে ফেলেছেন আগামী হলি়ডেরও।