প্রয়াত ভদ্রা বসু স্মরণে সুদীপ মুখোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
প্রয়াত মঞ্চ ও পর্দার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ভদ্রা বসু। বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। ‘প্রাক্তন’ জামাতা সুদীপ মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজার ডট কম-কে বলেছেন, “মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল মায়ের। দিন তিনেক আগে অস্ত্রোপচার হয়। শুক্রবার রাত আন্দাজ রাত ১২টা নাগাদ সব শেষ।”
বিশিষ্ট নাট্যপরিচালক অসিত বসুর স্ত্রী ভদ্রা। তাঁর দুই সন্তান দামিনী বেণী বসু এবং আনন্দী বসুও অভিনয় ও মঞ্চের খ্যাতনামী ব্যক্তিত্ব। প্রসঙ্গত, দামিনীর সঙ্গেই বিয়ে হয়েছিল অভিনেতা সুদীপের। বিবাহবিচ্ছেদের পরেও সদ্যপ্রয়াত ভদ্রার সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল তাঁর। নিমতলা ঘাটে নাট্যপরিচালক-অভিনেত্রীর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন তিনি। বলেন, “ওঁর মতো প্রাণচঞ্চল মানুষ খুব কম দেখেছি। অত্যন্ত স্নেহপ্রবণ। বিনোদন দুনিয়ায় যুক্ত থাকলেও সংসারের খুঁটিনাটি ছিল তাঁর নখদর্পণে। নিজের মা-বাবাকে হারানোর পর ওঁদেরই মা-বাবার আসনে বসিয়েছিলাম। ছোট ছোট বিষয় নিয়েও আমার সঙ্গে আলোচনা করতেন মা।”
খবর ছড়াতেই শোক জানিয়েছেন অভিনেতা সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাগতা মুখোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্ঘশ্রী সিংহ মিত্র-সহ মঞ্চ এবং পর্দার অভিনেতারা। স্বাগতা বলেন, “মঞ্চে ওঁর পরিচালনাতেই প্রথম ‘গওহরজান’ চরিত্রে অভিনয়। পরে আমার নিজের নাটক ‘গওহরজান’ও দেখতে এসেছিলেন দিদি।” সোহন বলেন, “নাট্য পরিচালনা, অভিনয়ের পাশাপাশি ভদ্রাদি খুব ভাল শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জানতেন।” জনপ্রিয় নাটক পরিচালনার পাশাপাশি সিরিজ় এবং ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’, অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়ের ‘বেলা’ সাম্প্রতিক উদাহরণ।