রিল লাইফের প্রেমই কখনও রিয়েল লাইফের প্রেম হয়ে দাঁড়ায় বলি সেলেবদের। কিন্তু সেই প্রেমের পরিণতি যে সব সময়েই বিয়ে, এমনটা হয় না। কখনও ভুল বোঝাবুঝি, কখনও অন্য নানান সমস্যার কারণে চিড় ধরে সে সব সম্পর্কে। আজ, এমনই কিছু সম্পর্কে চোখ থাকবে যাঁদের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত বিয়ে অবধি গড়ায়নি।
বলিউডে এক সময়ে জোর গুঞ্জন ছিল, জয়া ভাদুড়ির সঙ্গে বিয়ের পরেই নাকি রেখার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অমিতাভ। ১৯৭৬ এর ছবি ‘দো আঞ্জানে’ এর সেটেই প্রেম দু’জনের। তবে তাঁদের সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়ে যায় মিডিয়াতে। আর তার পরেই শেষ হয়ে যায় দু’জনের সম্পর্ক। পরবর্তী কালে এক সঙ্গে দু’জনে আর সিনেমা করেননি।
সম্পর্ক নাকি ছিল রাজ কপূর আর নার্গিসেরও। এক সঙ্গে ১৬টি ছবিতে কাজ করেছিলেন দু’জনে। কিন্তু নার্গিসের সঙ্গে দেখা হওয়ার অনেক আগেই বিয়ে করে ফেলেছিলেন রাজ কপূর। পরবর্তী কালে সুনীল দত্তের সঙ্গে বিয়ে হয় নার্গিসের।
‘সাজন’ ছবিটির শুটিং চলাকালীন নাকি প্রেম হয় সঞ্জয় দত্ত আর মাধুরী দিক্ষিতের। গুঞ্জন ছিল, বিয়ের প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছিলেন তারা। কিন্তু মাধুরী দিক্ষিতের বাবা নাকি বেঁকে বসেন। কারণ রিচা শর্মার সঙ্গে সঞ্জয় দত্তের তখন বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। আর দু’জনের এক মেয়েও ছিল।
সলমন খান আর ঐশ্বর্যা রাইয়ের প্রেমকাহিনি নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি বলিউডে। তবে এর শুরুটা ‘হম দিল দে চুকে সনম’-এর সেটে। সলমন আর ঐশ্বর্যার বিয়েতে বিন্দুমাত্র সমর্থন ছিল না ঐশ্বর্যার পরিবারের। আর তার পরেই ঐশ্বর্যা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, “এমন কিছু করব না, যাতে আমার মা-বাবা দুঃখ পায়।”
‘ফিদা’র সেটে প্রথম পরিচয় শাহিদ কপূর আর করিনা কপূরের। শোনা যায়, করিনাই নাকি প্রোপোজ করেছিলেন শাহিদকে। ‘জব উই মেট’-এর সেটে আরও গভীর হয় তাঁদের ভালবাসা। আর ওই ছবিরই সেটে চিড় ধরে দু’জনের সম্পর্কে।
মডেলিংয়ের সময় থেকে পরিচয় দু’জনের। দীর্ঘ দিন ডেটও করেছেন জন আব্রাহাম আর বিপাশা বসু। এত সবের পরেও টেকেনি তাঁদের সম্পর্ক। টিনসেল টাউনে কান পাতলেই শোনা যায় যে, জনের আচরণে নাকি রেগে যেতেন বিপাশা। আর সেই থেকেই সম্পর্কে ভাঙনের শুরু।
ক্যাটরিনা কইফ আর রণবীর কপূরের কেমিস্ট্রি ছিল এক সময় বলিউডের চর্চার বিষয়। ২০০৯ সালে ‘আজব প্রেম কি গজব কহানি’র সেটে পরিচয় হয়েছিল দু’জনের। গুজব রটে, এক সঙ্গে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেও শুরু করে দিয়েছিলেন রণবীর আর ক্যাট। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কও টেকেনি বেশি দিন।