মাহি গিল- ‘সাহেব বিবি গ্যাংস্টার’-এর বিবি হয়েছিলেন মাহি। যে বিবি এক্কেবারেই নবাবের ভালবাসার পাত্রী নন। হতাশার আবরণ ছিন্ন করে বেরোতে তাঁকে খুঁজে নিতে হয় অন্য হৃদয়ের আশ্রয়। সে হৃদয় নবাবেরই গাড়ির চালক। আর সে প্রেম এত গভীর আর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে দিনে দিনে। এতটাই আক্রমণাত্মক যে সোজা নবাবের মাথায় ধরে বন্দুক। এই ছবির জন্য পুরস্কারও পান মাহি গিল।
কল্কি কোয়েচলিন- ‘এক থি ডায়ন’ ছবিতে এক অদ্ভুত চরিত্রে দেখা গিয়েছিল কল্কিকে। কেউ আন্দাজই করতে পারেনি যে অদ্ভুতের ভিতরেই লুকিয়ে আছে ‘নেগেটিভ’। তবে ছবির একবারে শেষে ভিলেনের সঙ্গে আলাপ হয় দর্শকের। আর সে জায়গায় কল্কিকে বসিয়ে, সিনেমা হল থেকে বেরিয়েও অনেকে অবাক হয়েছেন।
কঙ্কনা সেনশর্মা- শাড়ি আর চুলের বিনুনি দিয়ে মাত করেছেন ‘এক থি ডায়ন’-এ কঙ্কনা। প্রথম থেকেই তিনি এই ছবির তথাকথিত ভিলেন।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া- অফিসের জুনিয়রকে সুড়সুড়ি দিয়ে তাঁর জীবনে সমস্যা এনে দিয়েছেন মহিলা বস। আর সেই বসই ‘এইতরাজ’ ছবির ভিলেন। যে চরিত্রে অভিনয় করে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।
বিপাশা বসু- ২০০৩-এর সিনেমা ‘জিসম’ ছবিতে বিপাশাই ছিলেন ভিলেন। নেগেটিভ ভূমিকায় এই ছবি দিয়ে বলিউডে নিজের মাটিটা একটু শক্ত করেছিলেন বিপাশা।
বিদ্যা বালন- ইশকিয়া ছবিতে বন্দুর হাতে মাত করেছেন বিপাশা। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ছড়ি ঘুরিয়েই বিদ্যা নেগেটিভ চরিত্র ধরেছেন। এই ছবিতে তাঁর অভিনয় মনে রাখার মতো ছিল।
কাজল- রূপ বা রং নয়, অভিনয় দিয়েই বলিউডে নিজের জাত চিনিয়েছেন কাজল। আর ‘গুপ্ত’-এ সে অভিনয় ছিল দেখবার মতো। সেই ছবিতেই কাজল ছিলেন এক জন ভিলেন। মানসিক অবসাদগ্রস্ত এক খুনি। ১৯৯৭ বা তার পরবর্তী সময়ের এক সেরা সিনেমা ‘গুপ্ত’।
ঊর্মিলা মাতন্ডকর- তিনি সেই ভাবে আজ আর পর্দায় আসেন না। ‘পেয়ার তুনে ক্যয়া কিয়া’ ছবিতে উর্মিলাকে দেখা গেছে নেগেটিভ চরিত্রে। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন ঊর্মিলা।
অমৃতা সিংহ- নিষিদ্ধপল্লির পটভূমিকায় এক প্রধান চরিত্রে অভিনয় ভূমিকায় অমৃতা ছিলেন ‘কলিযুগ’ সিনেমায়। আর সেই চরিত্র ছিল যথেষ্ট পীড়াদায়ক। কেন না একটি কড়া নেগেটিভ রোল ছিল সেই চরিত্র।
প্রীতি জিন্টা- ‘আরমান’ ছবিটি কারও মনে থাকার কথা নয়। অমিতাভ বচ্চন, অনিল কপূর থাকা সত্ত্বেও এই ছবি কারও মনে দাগ কাটেনি। তবে যা মনে ধরেছিল তা হল প্রীতি জিন্টার অভিনয়। প্রীতি এই ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর সেই অংশটুকুই মনে রেখেছেন অনেকে।