বলিউড আর বিতর্ক যেন পাশাপাশি হাত ধরে চলে। একটা সময়ে মাঝেমধ্যেই ফাঁস হয়ে যেত সেলেব্রিটিদের বিতর্কিত ভিডিয়ো। প্রেমিকার সঙ্গে চুম্বনের দৃশ্য, কিংবা বিউটি পার্লারে খোলা শরীরে ত্বকের যত্ন নেওয়া এই জাতীয় এমএমএস স্ক্যান্ডালে জড়িয়েছে বিভিন্ন তারকার নাম।
শাহিদ কপূরের সঙ্গে করিনা কপূরের ব্রেক আপের পর তাঁদের চুম্বনের একটি ভিডিয়ো ফাঁস হয়ে যায়। এমএমএসটি আসল না নকল তা নিয়ে জল্পনা চলেছিল।
২০১৪ সালে ক্যাটরিনা কইফ ও তাঁর বোন ইসাবেলের নাম জড়ায় এমএসএস স্ক্যান্ডালে। নগ্ন ভিডিয়ো ফাঁস হতেই অভিনেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সেটি নকল।
শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান ও অমিতাভ বচ্চনের নাতনি নভ্যা নভেলী নন্দার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে জল্পনা ছিল। তাঁদের দু’জনের নামও জড়ায় এমএমএস বিতর্কে। ‘মেক আউট’-এর ভিডিয়োটি নকল, খান ও বচ্চন পরিবার স্পষ্ট জানায়।
সোনাক্ষী সিংহের সঙ্গে এক ব্যক্তির ‘মেক আউট’-এর এমএমএস ছড়িয়ে পড়েছিল। অভিনেত্রী অবশ্য বলেন, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়ানো হচ্ছে।
অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে-র নামও জড়ায় এমএমএস কাণ্ডে। আদিল হোসেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ও রাধিকার অন্তর্বাস পরা দৃশ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায়, সেগুলি ‘পার্চড’ ও ‘বদলাপুর’ ছবির দৃশ্য।
সোহা আলি খান একটি পার্লারে গিয়েছিলেন ওয়্যাক্স করাতে। সেই পার্লারে সোহার নগ্ন ভিডিয়ো-র এমএমএস ছড়িয়ে পড়েছিল ইন্টারনেটে। যদিও তাঁর তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ভিডিয়োটি ভুয়ো, এমনটাই বলেছিলেন অনেকে।
২০১৫ সালে নায়িকা হংসিকা মোতওয়ানির নগ্ন দৃশ্যের এমএমএস নিয়ে বিতর্ক হয়। নায়িকা স্পষ্ট জানান, সেটি ভুয়ো।
প্রীতি জ়িন্টার স্নানের ভিডিয়ো-র এমএমএস ছড়িয়ে পড়তেই অভিনেত্রী আইনি ব্যবস্থা নেন। প্রীতির দাবি ছিল, ভিডিয়োটি নকল।
মল্লিকা শেরাওয়াতের সঙ্গে এক বিদেশি নাগরিকের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের এমএমএস ছড়িয়ে পড়তেই অভিনেত্রী দাবি করেন, সেটি ভুয়ো।
বীণা মালিকের সঙ্গে বিতর্ক ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। অভিনেতা রঞ্জন বর্মার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের এমএমএস ফাঁস হওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়। পরে জানা যায়, সেটি ‘জিন্দেগি ৫০-৫০’ ছবির।