অভিনয়ই তাঁদের পরিচিতি দিয়েছে, অভিনয় থেকেই জনপ্রিয়তা। কেউ তা করেন নেশায়, কেউ পেশার তাগিদে। কিন্তু ক্ষান্ত হননি এখানেই। অনেকেই অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসাটাও করেছেন মন দিয়ে। কেউ বড় পর্দায় তেমন জমাতে না পেরে সরে এসেছেন ব্যবসার দুনিয়ায়। কেউ বা কেরিয়ারের শেষে অবসর কাটানোর সঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছেন পছন্দের ব্যবসা। দেখে নেওয়া যাক কে কে আছেন সেই তালিকায়।
শাহরুখ খান: প্রথমেই আসে কিঙ্গ খানের কথা। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন সফল ব্যবসায়ীও। মোশন পিকচার্স প্রডাকশনের রেড চিলিজ এন্টাটেইনমেন্টের সহ-সভাপতি তিনি। আইপিএল-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিকও তিনিই।
শিল্পা শেট্টি: অভিনয় জগত থেকে সরে আসার পর ব্যবসার কাজটা বেশ মন দিয়েই করেন শিল্পা। আইপিএল-এ রাজস্থান রয়্যালস-এর মালকিন ছিলেন শিল্পা। বর্তমানে নিজের ফিল্ম প্রডাকশন কোম্পানিও খুলেছেন তিনি। ‘ইওসিস’ নামের স্পা এবং স্যালোঁ-র একটি চেন চালান নায়িকা। ২০১৫ সালে নিজের যোগের ডিভিডিও বাজারে এনেছিলেন তিনি।
সুনীল শেট্টি: বলিউডে মোটামুটি সফল সুনীল কিন্তু ব্যবসার কাজে বেশ সফল। শরীরচর্চায় তাঁর প্যাশনের কথা প্রায়ই শোনা যেত। তাই প্রথম ব্যবসাও শুরু করেছিলেন ফিটনেস নিয়েই। সারা ভারতেই রয়েছে তাঁর জিম। পপকর্ন এন্টারটেইনমেন্ট নামে একটি ফিল্ম প্রডাকশন কোম্পানিও রয়েছে তাঁর। রয়েছে বুটিকও। পাশাপাশি মুম্বই শহরেই রয়েছে তাঁর একাধিক রেস্তোরাঁ। রিয়েল এস্টেটের বিজনেসও রয়েছে তাঁর।
টুইঙ্কল খন্না: পর্দায় তেমন সুবিধা করতে পারেননি টুইঙ্কল। ফিল্মি কেরিয়ার শেষ হওয়ার পরেই মন দিয়েছিলেন ব্যবসার কাজে। মা ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গে দামি সুগন্ধী মোমবাতির ব্যবসা করেন তিনি। পাশাপাশি ‘দ্য হোয়াইট উইন্ডো’ নামে নিজের ইন্টেরিয়রের ব্যবসাও চালান তিনি। এখন তো ইন্টেরিয়র ডিজাইনার আর ব্যবসায়ী ছাড়াও আরও একটি পরিচয় রয়েছে টুইঙ্কলের। তিনি একজন শক্তিশালী কলামনিস্টও। ‘মিসেস ফানিবোনস’ নামে দেশের জনপ্রিয় একটি সংবাদপত্রে নিয়মিত কলাম লেখেন অক্ষয় কুমার ঘরণী। তাঁর লেখা বইও রয়েছে বাজারে। ছবি প্রযোজনা সংস্থাও খুলেছেন টুইঙ্কল।
অজয় দেবগণ: একটা সময় ছিলেন বলিউডের হিট মেশিন। কেরিয়ারে এখন প্রায় অস্তমিত তিনি। তবে ব্যবসায় রয়েছেন পুরোদমে। গুজরাতের চার্ণক সোলার প্রজেক্টের অংশীদার তিনি। রোহা গ্রুপের পাওয়ার প্ল্যান্টেও বিনিয়োগ করেছেন অজয়। ‘অজয় দেবগণ ফিল্মস’ নামের প্রডাকশন কোম্পানি চালান তিনি। ভিএফএক্স স্টুডিওর মালিকও তিনি।
সুস্মিতা সেন: ফিল্মি দুনিয়া থেকে এখন নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সুস্মিতা। এখন তাঁকে একজন সফল বিজনএসওম্যান বলাই যায়। ‘তন্ত্রা এন্টারটেইনমেন্ট’ নামক একটি প্রডাকশান হাউসের মালকিন তিনি। দিল্লিতে তাঁর একটি জুয়েলারি রিটেল স্টোরও রয়েছে। ‘আই অ্যাম শি’ নামে বিউটি কনটেস্টের আয়োজক তিনি।
জন আব্রাহাম: ভাল অভিনয়, দুর্দান্ত অ্যাকশন, পাগল করা রোম্যান্সে এক সময় পর্দায় ঝড় তুলতেন জন। এখন বড় পর্দায় আর ততটা দেখা মেলে না তাঁর। তবে ব্যবসাতে রয়েছেন ভাল মতোই। ‘জেএ এন্টারটেইনমেন্ট’ প্রডাকশন কোম্পানির মালিক তিনি। আইএসএলে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড টিমের মালিকও তিনিই। শোনা যাচ্ছে, ফিটনেস ফ্রিক জন নাকি এখন ফিটনেস ফ্র্যাঞ্চাইসি খোলার দিকে মন দিয়েছেন।
করিশ্মা কপূর: ঝুলিতে বেশকিছু সুপার ডুপার হিট থাকলেও ২০০৩ সালে শিল্পপতি সঞ্জয় কপূরকে বিয়ের পর বড় পর্দা থেকে সম্পূর্ণ বিদায় নিয়েছিলেন করিশ্মা। সেই সময় মন দেন ব্যবসার কাজে। একটি ই-কমার্শিয়াল পোর্টাল চালান তিনি। মা এবং শিশুর যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিস পাওয়া যায় সেখানে।
অর্জুন রামপাল: তুখোড় অভিনয় আর দুর্দান্ত ফিজিকেই পর্দাত মাত করতেন অর্জুন। এই মুহূর্তে ফিল্মি দুনিয়া থেকে খানিকটা দূরেই সরে গিয়েছেন তিনি। চুটিয়ে অভিনয় করতে করতেই শুরু করেছিলেন সাইড বিজনেস। দিল্লিতে তাঁর লাউঞ্চ-বার-রেস্তোরাঁ রয়েছে। রয়েছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিও।