কেউ বদমেজাজি, কেউ এতই নেশাখোর যে কেরিয়ার নিয়ে বেহুঁশ। কেউ বা তাঁকে দেওয়া খুনের হুমকির কথা সামনে এনে ফেলেছিলেন। বলিউডের এক সময়ে এই সুপারস্টারদের কেরিয়ার প্রায় শেষ। এই শেষের পিছনে অন্য কেউ নন, তাঁদের ‘অবদানই’ সবচেয়ে বেশি। কী ভাবে নিজেই নিজেদের কেরিয়ার নষ্ট করেছেন এঁরা?
রাজেশ খন্না: বলিউডের প্রথম সুপারস্টার। তবে শুধু ভাল অভিনয়ই করতেন না, অত্যন্ত বদমেজাজিও ছিলেন তিনি। একবার তাঁকে প্রধান চরিত্র না দিয়ে পার্শ্ব চরিত্র দেওয়ার জন্য পরিচালককে চড় মেরেছিলেন রাজেশ খন্না। এমন অভিযোগ রয়েছে। আর ওই ঘটনার পর থেকেই ক্রমশ কেরিয়ার খারাপ হতে শুরু করে তাঁর। সঙ্গে দোসর ছিল অত্যধিক পরিমাণে মদ্যপান।
ফরদিন খান: বলিউডে পা রাখার পর বেশ উপরের দিকেই উঠছিল ফরদিনের কেরিয়ারগ্রাফ। ফরদিন হয়ে গেল বলিউডের চকোলেট বয়। ফরদিন জড়িয়ে পড়েন বেআইনি মাদক এবং সাইকোট্রপিক দ্রব্যের পাচার কাণ্ডে। তাঁর কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়।
বিবেক ওবেরয়: রাজেশ খন্নার মতো বদমেজাজ নয়, ফরদিনের মতো ড্রাগ-কাণ্ডও নয়। শোনা যায়, বিবেকের কেরিয়ার নষ্ট হওয়ার পিছনে রয়েছে তাঁরই ডাকা একটি সাংবাদিক সম্মেলন। ঐশ্বর্যার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর সলমন খান এক রাতে তাঁকে ৪১ বার ফোন করে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। সাংবাদিককের সামনে এটাই জানিয়েছিলেন বিবেক।
ববি দেওল: আপাত ভদ্রলোক ববির সমস্যা আবার ভিন্ন। বড্ড সময়জ্ঞানের অভাব ছিল তাঁর। আর সে কারণেই পরিচালকরা তাঁকে অপছন্দ করতে শুরু করেন। কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়। তবে নতুন করে ফিল্মে ঘুরে দাঁড়াতে চান বলি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন, এ সমস্ত অপবাদও তিনি মুছে ফেলতে চান।
সঞ্জয় দত্ত: তাঁর জীবন কীভাবে চড়াই-উতরাই পেরিয়ে চলেছে তা সকলেরই জানা। ড্রাগ এবং মাফিয়াদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ— এর প্রভাব পড়েছে তাঁর ফিল্ম কেরিয়ারের উপর। এক সময়ে তিনিও সুপারস্টার ছিলেন।