একটা সম্পর্ক যখন গড়ে ওঠে অজান্তেই সেই সম্পর্কের মধ্যে আরও অনেক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হয়তো আপনাদের মধ্যে আর প্রেমের সম্পর্ক নেই। কিন্তু তা বলে কী একে অপরের মুখ দেখা বন্ধ হয়ে যাবে! সম্পর্কের টানাপড়েনে ভুলেই যাই, একে-অন্যের ভাল বন্ধুও তো আমরা। তাঁরা কিন্তু ভোলেননি। ব্রেকআপের পরও কী ভাবে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে হয় এঁদের থেকে শেখার।
রণবীর কপূর-দীপিকা পাডুকোন: ব্রেকআপের পর বেশ কিছু দিন রণবীর এবং দীপিকা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন না। সে খবর সামনে এসেছিল। তবে এখন তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণটা পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। দীপিকা নিজেও সেটা স্বীকার করেছেন। ‘আমরা সম্পর্কের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো ফেলে অনেক এগিয়ে এসেছি। আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক এখন আরও অনেক গভীর’, বলেছিলেন দীপিকা।
সলমন খান-ক্যাটরিনা কইফ: দীর্ঘ পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। কখন, কী ভাবে এবং কেন যে তাঁদের সম্পর্কের ভাঙন ধরল তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেন না। তবে সম্পর্ক ভেঙে গেলেও তাঁরা কিন্তু এখন খুব ভাল বন্ধু। এমনকী ক্যাটরিনাকে খান-পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেও দেখা যায়।
অনুষ্কা শর্মা-রণবীর সিংহ: ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ তাঁদের এক সঙ্গে প্রথম ফিল্ম। আর এর পর থেকেই দু’জনে ডে়ট করতে শুরু করেন। তবে খুব বেশি দিন সে সম্পর্ক টেকেনি। দু’জনের মধ্যে যোগাযোগও ছিল না। কিন্তু তাঁদের দু’জনকে আরও একবার জুটি বেঁধে অভিনয় করতে দেখা যায় ‘দিল ধড়কনে দো’-তে। পুরনো সম্পর্ক ভুলে তাঁরা এখন খুব ভাল বন্ধু।
করিনা কপূর-শহিদ কপূর: পাঁচ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায়। আর তারপর দীর্ঘ সাত বছর একে অপরের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না তাঁদের। ২০১৪ সালে আইফা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তাঁরা ফের মুখোমুখি হন। করিনা পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন এবং সঞ্চালক শহিদের সঙ্গে তাঁকে কথাও বলতে দেখা যায়।
কুশল টন্ডন-গওহর খান: বিগ বস হাউসে পরিচয় এবং প্রেম। সেখান থেকে বার হওয়ার পরও কয়েক মাস তাঁদের প্রেমপর্ব চলছিল। কিন্তু খুব খারাপ ভাবে ব্রেকআপ হয়। সে সময় একে অপরের প্রতি প্রকাশ্যে তাঁরা ভীষণ কাদা ছোড়াছুড়ি করতেন। সেগুলো সবটাই সম্পর্ক নিয়ে জমে থাকা নেগেটিভ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ছিল। বর্তমানে তাঁরা সেই খারাপ দিকগুলো কাটিয়ে উঠেছেন।
শিল্পা শেট্টি-অক্ষয় কুমার: এঁদেরও খুব খারাপ অতীত রয়েছে। কেউ ভাবতে পারেননি যে, তাঁরা ফের কখনও কাছাকাছি আসতে পারেন। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করেন তাঁরা। একটি টেলিভিশন শো-এর বিচারক ছিলেন শিল্পা। সেই শো-তে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন অক্ষয়। দু’জনকেই একে অপরের সঙ্গে ভীষণ স্বচ্ছন্দ ছিলেন।