Debashree Roy

অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়ের মা আরতি দেবী প্রয়াত, বয়স হয়েছিল ৯২

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.৩০টা নাগাদ তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আরতি দেবী। তিনি দীর্ঘ দিন বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। বিগত কয়েক মাস তিনি অভিনেত্রীর দিদির বাড়িতে ছিলেন, চলছিল চিকিৎসা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২২ ১০:৪৫
Share:

দেবশ্রী রায়ের মা আরতি দেবী (বাঁ দিকে), দেবশ্রী রায় (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত

প্রয়াত হলেন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়ের মা আরতি রায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.৩০টা নাগাদ তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, তিনি দীর্ঘ দিন বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। বিগত কয়েক মাস তিনি অভিনেত্রীর দিদির বাড়িতে ছিলেন। সেখানেই চলছিল চিকিৎসা। মৃত্যুর সময় পাশে ছিলেন ৩ মেয়েই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে দেবশ্রীকে যোগাযোগ করায় আবেগঘন অভিনেত্রী বললেন, ‘‘বুঝতেই পারিনি, মা কখন চলে গেলেন। মায়ের জন্যেই আমার অভিনেত্রী হয়ে ওঠা। মা ছাড়া তো আমার কোনও অভিপ্রায় ছিল না অভিনেত্রী হওয়ার। বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়া মায়ের বিশেষ কোনও রোগ ছিল না। তিন মেয়ে পাশে ছিল, তাই খুব শান্তিতে গিয়েছেন মা।’’

মায়ের ইচ্ছাপূরণ করতেই এক সময় দেবশ্রীর ইন্ডাস্ট্রিতে আসা। মেয়েকে নাচ শেখানো থেকে শুরু করে তাঁকে অভিনয়ে অনুপ্রেরণা জোগানোর পিছনে আরতি দেবীর অবদান অনস্বীকার্য। কেরিয়ারের শুরু দিনগুলোয় আরতি দেবীর হাত ধরেই স্টুডিয়োপাড়ায় যেতেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী দেবশ্রী। উল্লেখ্য আরতি দেবীর মেয়ে, দেবশ্রীর দিদি কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে বলিউড অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়। তবে পরিবার সূত্রে খবর, তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই মুহূর্তে আসতে পারছেন না।

Advertisement

গত অগস্ট মাসে আরতি দেবী গুরুতর চোট পান। আনন্দবাজার অনলাইনকে তখন দেবশ্রী জানিয়েছিলেন, ‘‘বড়দি’র কাছে মা থাকেন। বাড়িতেই পড়ে গিয়ে কপাল ফাটিয়ে ফেলেছেন। অনেক রক্তপাত হয়েছে। মা ৯২ ছুঁইছুঁই। দুর্ঘটনার পরে বেশ কাহিল হয়ে পড়েছেন।’’ তাই এই বছর জন্মদিনে মাকে নিজের হাতে পায়েস রেঁধে খাইয়েছিলেন পর্দার ‘সর্বজয়া’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন