চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে নিজের ঘাম রক্তকে এক করেন তিনি। কখনও সিক্স প্যাক আবার কখনও সমাজের দায়িত্ববান চিত্রশিল্পী হয়ে। তিনি এতটাই পারফেক্ট যে একই ছবির স্বার্থে নিজের দেহ নিয়ে বারংবার ভাঙা গড়ার খেলা করেন। তিনি আমির খান। হাফ সেঞ্চুরি করবার পরেও যে কোনও চরিত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ নিতে কুন্ঠা বোধ করেন না। তবে বাস্তব জীবনে আমিরের রসবোধ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। আর রিয়েল লাইফের সেই রসবোধকেই দর্শকের সামনে তুলে ধরলেন মি: পারফেকসনিস্ট।
দিওয়ালি হোক বা যে কোনও অনুষ্ঠান অতিথিদের আগমন হয় সকলের বাড়িতেই। এমনকী অনুষ্ঠান ছাড়াই আজকাল বাড়িতে দেখা যায় ‘বিন বুলায়ে মেহমানদের।’ আমিরকেও হতে হয় এই পরিস্থিতির মুখোমুখি। আর এই পরিস্থিতির মোকাবিলা খুব সহজেই কী ভাবে করেন সেই কথাই খোলামেলা ভাবে জানালেন আমির। অতিথিদের সঙ্গে নির্ভেজাল আড্ডা দেওয়ার পর তিনি বলে ওঠেন ‘আপনাদের সকলের সঙ্গে দেখা করে খুব ভাল লাগল।’ তখন আমিরের মন যেন বলে ওঠে ‘বাই! এবার দয়া করে নিজেদের বাড়ি যান।’ কথায় আছে ‘অতিথি দেব ভব’। সামনা সামনি তো আর অতিথিকে চলে যেতে বলা যায় না।
পরিচালক নাসের হুসেন এর জীবনীমূলক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ রকমই খোলামেলা দেখাল আমিরকে। নাসের হুসেন সম্পর্কে তাঁর কাকা। আর কাকা’র থেকেই অতিথিদের সঙ্গে ব্যবহারের এই প্রাণোচ্ছ্বল ভঙ্গিমা তিনি শিখেছেন। মেহমান সম্পর্কিত এই টোটকা নিয়ে আমিরের বক্তব্য “ এই একটা জিনিস আমি কাকার থেকে শিখেছি এবং আত্মস্থ করবার চেষ্টা করেছি। ছোটবেলায় আমরা তাঁর বাড়িতে খেলতাম, খাওয়া দাওয়া করতাম। তিনি আমাদের খুব স্নেহ করতেন। কিন্তু যখনই তাঁর ঘুমানোর সময় হত তিনি আমাদের বলে উঠতেন তোমাদের সঙ্গে দেখা করে খুব ভাল লাগল।” তিনি সেই সঙ্গে বলেন, “আমার বাড়িতেও যখন অতিথিরা আসেন তাঁদেরকে এই কথাই বলি।” আর এই কথা বলতে গিয়ে হাসিতে ফেটে প়ড়েন আমির খান। নাসের হুসেনেকে নিয়ে খোলামেলা আলোচনার পাশাপাশি আমির জানান, হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও পরিবার আর বন্ধু বান্ধবের যে কোনও প্রয়োজনে তিনি সময় বের করে চলে আসেন।