(বাঁ দিকে) বিবেক অগ্নিহোত্রী। তনুশ্রী দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ দিন বড় পর্দায় নেই অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। প্রচারের আলো থেকেও দূরে ছিলেন তিনি। মাঝে কয়েক বছর দেশেও ছিলেন না। বছর কয়েক আগে যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তনুশ্রী। নানা পটেকরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনার পরে তা নিয়ে জলঘোলা হয় বিস্তর। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন তিনি। তাঁর দাবি, ছবির সেটে সকলের সামনে খোলামেলা পোশাক পরে থাকতে বাধ্য করেছিলেন বিবেক। অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল তনুশ্রীকে।
২০০৫ সালের ছবি ‘চকোলেট’-এর শুটিং চলছিল। সেই ছবির এক দৃশ্যে ছোট স্কার্ট পরতে হয়েছিল তনুশ্রীকে। শুটিং-এর ফাঁকে মেকআপ ভ্যানে সেই খোলামেলা পোশাকের উপরে একটি বড় কোট পরে বসেছিলেন তনুশ্রী। এতেই নাকি আপত্তি জানিয়েছিলেন বিবেক। দাবি করেছিলেন, শুটিং-এর আগেও তাঁকে ওই খোলামেলা পোশাকেই থাকতে হবে। তনুশ্রী আরও জানান, বিবেক নাকি তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েক বার দুর্ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, “এক দিন শুটিংয়ে পৌঁছোতে পাঁচ মিনিট দেরি হয়েছিল। আমার উপর চিৎকার করতে শুরু করলেন পরিচালক। বললেন, আমি নাকি অপেশাদার। অথচ, আমি অন্য দিন শুটিং সেটে পৌঁছে দেখতাম, কিছুই শুরু হয়নি। কিন্তু একদিন আমি মাত্র পাঁচ মিনিট দেরি করে পৌঁছেছিলাম বলে আমি আগে আসি কি না দেখার জন্যই সেই দিন তিনি আমার আগে সেটে পৌঁছেছিলেন।” যদিও তনুশ্রীর এ হেন অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিবেক। পাল্টা তাঁর দাবি, তনুশ্রী হতাশায় ভুগছেন। বিবেকের কথায়, ‘‘আসলে এই জগৎটা এমনই, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের উপর সফল হওয়ার চাপ থাকে। এ বার যখন তুমি সাফল্য না পাও, তখন হতাশা গ্রাস করে। বুঝতে পারেন না, তাঁদের মানসিক স্থিতি কেমন আছে। তাই এঁরা এ সব বলতে থাকবেনই। আমি এঁদের বিশেষ পাত্তা দিই না। যার যা ইচ্ছে সে বলুক।’’