Trina Saha

Bengal Polls: রাজনীতিতে দিদির পরে দেব আর সায়নী আমার অনুপ্রেরণা: তৃণা

আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে একান্ত আড্ডায় তৃণা সাহা।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২১ ১৪:২৩
Share:

তৃণা সাহা।

শুভশ্রীর শাশুড়ি শুভশ্রীকে মোমের পুতুল বলেন। আপনার শাশুড়িও তো এক গ্লাস জল নিয়ে খেতে দেন না...

তৃণা:
আমার বাড়িতে আমি সত্যি কোনও দিন নিজে নিয়ে জল খাইনি। এখন শ্বশুরবাড়ি এসেও তাই হচ্ছে।


মানে 'খড়কুটো' ধারাবাহিকের পরিবার যে ভাবে আপনাকে আগলে রেখেছে, বাস্তবেও তাই?

তৃণা:
বিয়ের পরে আমি একটা অন্য বাড়িতে থাকছি। আমার বিছানায় আর একজন পুরুষ আমার সঙ্গে থাকেন। শুধু এইটুকুই তফাত। নীলের বাড়ির সকলে আমাকে এত দিন ধরে চেনেন, বিয়ের পর আলাদা করে আমায় কিছুই করতে হয়নি।

একই মাধ্যমে দু'জনে সফল ভাবে কাজ করছেন...

তৃণা:
হ্যাঁ। আমাদের পারস্পরিক বোঝাপড়া ভীষণ ভাল। নীল মিথ্যে কথা বলে না। মুখের উপর সত্যি বলে। সেটা শুনতে যতই খারাপ লাগুক।

খারাপ লাগলে ঝগড়া করেন?

তৃণা:
আমরা কেউ চেঁচিয়ে ঝগড়া করি না। মনে মনে রাগ থাকে। তবে একটু ঝগড়া না হলে আর সম্পর্ক কী?

Advertisement

নীল-তৃণা।

রাগ কে ভাঙায়?

তৃণা:
নীলের রাগ ভাঙতে ৭থেকে ১০ দিন সময় লাগে। আমাদের ঝগড়া এমনিতে কেউ বুঝতে পারে না। তবে আমি সমস্যা হলে খোলাখুলি মিটিয়ে নিতেই পছন্দ করি। আর যত দিনে ওর রাগ ভাঙে, তত দিনে আমার রাগ উবে যায়।আমি একটা কথা বলতে চাই। বলব?

হ্যাঁ। বলুন...

তৃণা:
আনন্দবাজার ডিজিটালকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এত ভাল হোর্ডিং হয়েছে। আমার আলাদা করে, নীলের আলাদা করে হোর্ডিং গেছে। সেটা তো ভাল হয়েইছে। কিন্তু আমাদের দু'জনের হোর্ডিংটা এত জনপ্রিয় হয়েছে। আমাদের বিয়ের পর মনে হয়েছে এটাই সবচেয়ে বড় উপহার।

আপনারা যে ভাবে নেটমাধ্যমে দু'জনে ছবি দেন...

তৃণা:
আসলে আমাদের ভাল লাগা একরকমের। তবে এটাও ঠিক, মানুষ আমাদের দু'জনকে একসঙ্গে দেখতে চায়।

অথচ ধারাবাহিকে আপনারা আলাদা। আপনি তো 'গুনগুন' হয়ে কৌশিকের ( সৌজন্য ) সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন...

তৃণা:
হ্যাঁ। আর নীল কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকে তিয়াসার সঙ্গে। অথচ দর্শকরা আমাদের ভালবেসে 'তৃনীল' নাম দিয়েছে। এটাই পাওয়া।

নীলের কোন জিনিস পছন্দ করেন না?

তৃণা:
ও ভীষণ ভুলে যায়। আর খুব কুঁড়ে। ধরুন বাড়িতে বসে আছে, বেল বাজলে দরজা খুলবে যে সেটাও করবে না। সামনেই কিন্তু দরজা।

আপনার হাতের রান্না নাকি নীলের খুব প্রিয়?

তৃণা:
আমার তৈরি নাটেল টার্ট ও পুরো এক কৌটো খেয়ে নেয়।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণা।

প্রযোজনা সংস্থা তৈরি করেছেন। ছবি কবে আসছে?

তৃণা
: ছবি তৈরির ইচ্ছে আছে। তবে এখন কোভিডের সময়, এখন কিছু ভাবছি না।

দু'জনে দিদির সঙ্গে প্রচারে নন্দীগ্রাম গিয়েছিলেন...

তৃণা:
হ্যাঁ। দারুণ অভিজ্ঞতা। আমি বরাবরই মাননীয়াকে শ্রদ্ধা করি। বিপদে পড়লে পাশে পেয়েছি।

কিন্তু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে কাজ করার কী পরিকল্পনা?

তৃণা:
এখন তো প্রচারে যাওয়াই কাজ। এই তো বেশ কয়েক দিন আগে হাবড়ায় গেলাম। দিদির মানবিক রূপের সঙ্গে একাত্ম বোধ করি। নন্দীগ্রামে দিদির সঙ্গে গিয়ে এমন সব জায়গা দেখেছি যেখানে মানুষ জীবনেও পাকা রাস্তা, আলোর কথা ভাবেননি। সেটাও তো হয়েছে।আমরা কত কী পেয়েছি! আর একটা মহিলা একা লড়াই করছেন। পাশে থাকব না!

রাজনীতির ময়দানে ইন্ডাস্ট্রির আর কাদের ভাল লাগছে?

তৃণা:
সায়নী ঘোষকে খুব ভাল লাগে। ওঁর বলার ক্ষমতা। আত্মবিশ্বাস। দেবাংশু এত ভাল কথা বলে! দেব আমাকে খুবই অনুপ্রেরণা দেয়। দেব তো দাঁড়ায়নি। তাও ওর প্রচার দেখলে বোঝা যায়, ও রাজনীতির জন্য রীতিমতো পড়াশোনা করে মাঠে নামে। এই যে শিক্ষাটা, এটাই আসল। এ বারে নির্বাচনে এত গালিগালাজ শোনা যাচ্ছে। কই দেব বা সায়নীর মুখে তো বাজে শব্দ শোনা যায়নি। মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করতে গেলে নিজেদের শিক্ষার খুব প্রয়োজন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন