নব্বইয়ের দশকে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। এখন শুধু বিজ্ঞাপনেই মুখ দেখান। তবে সাজগোজ নিয়ে আগের চেয়েও সচেতন করিশ্মা কপূর। ডিজাইনারের তৈরি জামাকাপড় ছাড়া গায়ে অন্য কিছু তোলেন না। উৎসবের মরসুমে ভারতীয় পোশাকই পছন্দ তাঁর। তবে সেগুলিও আসে নামজাদা ডিজাইনারের কাছ থেকে। তা এই মুহূর্তে কী আছে তাঁর ওয়ার্ডরোবে? দেখে নিন এক ঝলকে।
সেই ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ থেকে শুরু। ডিজাইনার মণীশ মলহোত্রকে বরাবর পছন্দ করিশ্মার। সম্প্রতি মণীশের ডিজাইন করা হলুদ রঙের এমব্রয়ডারি করা কুর্তা এবং সিগার প্যান্টে দেখা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
নবরাত্রির সময় লেহঙ্গা-চোলি ছাড়া চলে নাকি? করিশ্মাও তাই মানেন। তাই তো ডিজাইনার অনিতা ডোঙ্গরের তৈরি ধূসর রঙের লেহঙ্গা এবং তার সঙ্গে মানানসই হালকা গোলাপি রঙের চোলি বেছে নিয়েছেন!
পাটিয়ালা প্যান্টের ট্রেন্ড ফিরছে ফ্যাশনে। উৎসবের মরসুমে করিশ্মাও তাই বেছে নিয়েছেন পাটিয়ালা প্যান্ট, কুর্তা এবং সুতোর কাজ করা ওড়না।
লেহঙ্গার সঙ্গে সবসময় চোলি পরতে হবে এমন কোথাও লেখা নেই। নকশা করা ছোট ঝুলের কুর্তাও পরা যেতে পারে। করিনা আগেই ট্রাই করেছিলেন। এবার সেই পথে হাঁটলেন করিশ্মাও। গয়না হিসাবে বাছলেন টিকলি এবং কানের দুল।
বলিউড নায়িকা বলে কথা! শাড়ি পরবেন না তা আবার হয় নাকি! পাড়ে টাসেল বসানো সাদা রঙের একটি শাড়ি পছন্দ করেন করিশ্মা। সঙ্গে ধূসর বাদামি রঙের ব্লাউজ আর কানে হিরের দুল।
অনুষ্ঠান যাই হোক না কেন, পরতে জানলে সব ক্ষেত্রেই সাদা রং চলে। আরও একবার তা প্রমাণ করলেন করিশ্মা। সোনালি সুতোর কাজ করা সাদা রঙের লেহঙ্গা পরতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে চোলি বা কুর্তার দিকে যাননি। বরং তার সঙ্গে পরেছেন ফুলহাতা সাদা ক্রপ টপ। সঙ্গে নকশা করা সাদা ওড়না।
ভারতীয় পোশাক পরলেই তো আর হল না। সকলের মধ্যমণি হয়ে উঠতে হবে। তাই রূপোলি জরির কাজ করা ধূসর রঙের লেহঙ্গা ও সাদামাটা ধূসর চোলির উপর ফিনফিনে একটা জ্যাকেট চড়িয়েছেন করিশ্মা। ছবি: করিশ্মা কপূরের ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে সংগৃহীত।