স্ত্রী মনীষার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক সন্দীপের? ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর ঝুলিতে মোট ছবির সংখ্যা মাত্র তিন। তাতেই গোটা দেশের বিতর্কের কেন্দ্রে পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা। দক্ষিণী বিনোদন জগতের পরিচালক তিনি। তাঁর উত্থান তেলুগু ছবি ‘অর্জুন রেড্ডি’র মাধ্যমে। বিজয় দেবেরাকোন্ডা অভিনীত এই ছবি পরিচালক হিসাবে সন্দীপের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি তো বটেই। পাশাপাশি, এই ছবিতে অভিনয় করেই নজরে এসেছিলেন অধুনা দক্ষিণী তারকা বিজয়। এর আগে একাধিক ছবিতে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে ‘অর্জুন রেড্ডি’ প্রায় রাতারাতি ভাগ্য বদলে দিয়েছিল বিজয়ের। তারকা তকমা পেতেও আর সবুর করতে হয়নি তাঁকে। তা সত্ত্বেও ছবিটি নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। কেন? কারণ, ‘অর্জুন রেড্ডি’ ছবির মুখ্য চরিত্র অর্জুন রেড্ডি আদপে এক জন চূড়ান্ত রগচটা মানুষ। তার রাগ হলেই সে এক কিস্তিতে চারটে সিগারেটে টান দেয়। তাতেও মাথা ঠান্ডা না হলে সেই রাগের কোপ গিয়ে পড়ে তার বন্ধুবান্ধবের উপরে। তার রোষের হাত থেকে মুক্তি নেই তার বাড়ির পরিচারিকারও। রেগেমেগে তাকেও ছুরি হাতে তাড়া করে সে। তা ছাড়াও, অতিরিক্ত রাগের বশে প্রেমিকার গায়ে হাত তোলা তো আছেই। সঙ্গে আছে ঘন ঘন চোখরাঙানো শাসানি। ঠিক একই রকমের পুরুষ বঙ্গার ‘অ্যানিম্যাল’ ছবির মুখ্য চরিত্র রণবিজয়। উগ্র পৌরষের পালে এ ভাবেই হাওয়া দেন বঙ্গা, এমনটাই অভিযোগ পরিচালকের বিরুদ্ধে।
নিজে বিয়ে করেছেন ভালবেসে। স্ত্রীর নাম মনীষা রেড্ডি। স্ত্রীকে আড়ালেই রেখেছেন সন্দীপ। পরিচালকের কোনও ছবির প্রদর্শনীতে এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি মনীষাকে। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন দু’জনে। এক পুত্র এক কন্যাসন্তানের বাবা-মা তাঁরা। তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে তেমন কোনও তথ্য সে ভাবে দেওয়া নেই সমাজমাধ্যমে। ইনস্টাগ্রামে আছেন বটে। যদিও অ্যাকাউন্টটি ‘ব্যক্তিগত’ করে রাখা। স্বামী ছাড়া অন্য কাউকে সমাজমাধ্যমে অনুসরণও করেন না।