কেন ব্যতিক্রমী আরাত্রিকা মাইতি? ছবি: ফেসবুক।
সদ্য আঠারো পেরিয়েছেন হয়তো। তবু তাঁর ব্যতিক্রমী চিন্তা আলোচনার বিষয়! তিনি আরাত্রিকা মাইতি। কেউ তাঁকে আদর করে ডাকেন ‘মিতুল মা’, কেউ বা ‘রাই’। না, একটাও তাঁর বাড়ির দেওয়া নাম নয়। তখনও তিনি প্রাপ্তবয়স্কা নন। সেই থেকেই ছোটপর্দার নায়িকা আরাত্রিকা। অভিনয়ে হাতেখড়ি ‘খেলনাবাড়ি’ দিয়ে। তার পরে ‘মিঠিঝোরা’। এ বার তাঁকে দেখা যাবে নতুন ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাটা’তে।
অল্প সময়ে তিনি যেমন জনপ্রিয়, তেমনই কটাক্ষও সহ্য করতে হয় তাঁকে। নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি নায়িকার প্রথম কাজ থেকেই তাঁকে কটাক্ষে বিঁধে চলেছেন। অভিনয় দুনিয়ায় একটু একটু করে বেড়ে ওঠা মেয়েটির গায়ে কি এ সব লাগে? নতুন ধারাবাহিক নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি এই বিষয়টি নিয়েও অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। আরাত্রিকার কথায়, “এ ভাবে ভাবতে শিখিয়েছেন আমার মা। প্রথম প্রথম আমারও খারাপ লাগত। যে কাজই করি, সেটা নিয়েই সমালোচনা, কটাক্ষ!” অভিনেত্রীর মা তখন মৃদু বকুনি দিয়েছিলেন তাঁকে। বলেছিলেন, “অনেকেই তো তোর প্রশংসাও করেন। তোর কাজের তাঁরা সমর্থক। তাঁদের কথায় তো এত অনুপ্রাণিত হোস না!”
মায়ের এই পরামর্শই মন থেকে মেনে চলেন আরাত্রিকা। তিনি তাই নিন্দকদের তাঁর জীবনের ‘আশীর্বাদ’ বলে মনে করেন। “ওঁদের সমালোচনা, নিন্দা আমার জেদ বাড়িয়ে দেয়। বলতে পারেন, ওঁরাই আমার পথ চলার পাথেয়।” এ ভাবেই সবসময় ইতিবাচক ভাবতে ভালবাসেন তিনি। “আমার এই ভাবনার ছাপ পড়ে চরিত্র বাছাইয়েও। জেদি, লড়াকু, কিন্তু ইতিবাচক মেয়ের চরিত্র পেলে আমাকে আর অভিনয় করতে হয় না”, দাবি তাঁর। তাই নতুন ধারাবাহিকে তাঁকে দেখা যাবে সৎ কিন্তু বাস্তববাদী এক মেয়ের চরিত্রে। তাঁর ‘দিদি’র ভূমিকায় রয়েছেন শ্রুতি দাস।