সলমন খানের ইদ-ভাগ্য ভাল বলা হয়। কিন্তু ‘টিউবলাইট’ সেই ভাগ্যের ফিউজ উড়িয়ে দিল। বক্স অফিস বলছে, এ পর্যন্ত তাঁর ইদ রিলিজের মধ্যে ‘টিউবলাইট’ সবচেয়ে কম ব্যবসা করেছে। ভাইজানের ছবি কিনা ইদের দিনে মোটে ১৯.০৯ কোটি টাকার ব্যবসা করল!
শুক্রবার রিলিজের দিন থেকে শুরু করে সোমবার ইদের দিন পর্যন্ত ৮৩ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ভাইজানের ছবি। প্রথম দিনে ২১ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। অথচ তাঁর আগের ছবি ‘সুলতান’ প্রথম দিনে ৩৬ কোটি টাকার বক্স অফিস দেয়। ‘টিউবলাইট’ প্রথম তিন দিনে ৬৪.৭৭ কোটি রোজগার করেছে। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ তিন দিনে ছিল ১০২ কোটি এবং ‘সুলতান’ ১০৫ কোটি টাকা। সুতরাং এটা স্পষ্ট সলমন খানের ক্যারিশমার নিরিখে ‘টিউবলাইট’ একেবারেই সফল নয়।
কিন্তু এই অবস্থা হল কেন? দু’-তিনটে মত উঠে আসছে। প্রথমত, ঠিক সলমনোচিত ধুমধাড়াক্কা ছবি নয় ‘টিউবলাইট’। পরিবার নিয়ে দেখার ছবি। ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে সলমন-ক্যাম্প এই যুক্তিটাই খাড়া করছে। কিন্তু ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ও তো সেই গোত্রের ছবি ছিল না। তাতে তো বক্স অফিস পেতে সমস্যা হয়নি! দ্বিতীয়ত, ছবি যে ভাল হয়নি, সেটা লোকমুখে প্রচারিত হয়ে গিয়েছে। ওয়ার্ড অব মাউথ পাবলিসিটি যেমন একটা ছবি হিট করাতে পারে, তেমনই ছবি ফ্লপ করাতেও সক্ষম।
তবে সলমনের সব ছবি যে গুণগত দিক দিয়ে ভাল, এমন কথাও বলা যায় না। তবে সেখানে একটা বিষয় কাজ করে। সেটা এনটারটেনমেন্ট ফ্যাক্টর। সল্লুভাইয়ের ছবিতে যতই গল্পের গরু গাছে চড়ুক, বিনোদনের মাত্রা দর্শককে আকর্ষণ করে। সেই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করেই ‘এক থা টাইগার’ কিংবা ‘কিক’-এর মতো ছবি সুপারহিট হয়েছে। কিন্তু ‘টিউবলাইট’-এ না আছে সেই ধাঁচের বিনোদন, না আছে জোরালো গল্প। দর্শক-সমালোচক উভয়ের মতেই, সলমনই এ ছবির সবচেয়ে কমজোরি অংশ। অতএব, স্রেফ বিশ্বাস দিয়ে ছবিতে পাহাড় টলিয়ে দেওয়া গেলেও দর্শককে সিনেমা হল পর্যন্ত আনতে গেলে আলাদা ‘কিক’ লাগে!