রাত দেড়টা অবধি ভারতের নানা প্রান্তের সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘বদতমিজ দিল..’ নেচেছেন।
সকাল এগারোটার মধ্যে আবার রেডি হয়ে ব্রেকফাস্টে সবার সঙ্গে ইয়ার্কি।
মাঝে মধ্যে সিগারেট আর ডাবের জল খেতে খেতে গোয়ার পার্ক হায়াত-এ শুরু হল আড্ডা...
যে জল দিচ্ছে তার পিঠে হাত রেখে কথা বলছেন। রিসেপশনে বাচ্চারা আপনার টুপি ধরে টানছে। তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সেলফি তুলছেন। সুপারস্টাররা এত অমায়িক হল কবে থেকে?
হা হা হা...কী করব! আমি তো বরাবরই এ রকম। এই স্টারডম যে মাথায় ঢোকেনি, তার কৃতিত্ব একজনের। মা, মা, মা।
আপনি তো জানেন, আমার বাড়িতে ফোন করলে মা-ই ফোন তোলে। এখনও বাজারের ফর্দ বানিয়ে মা কাজের লোকেদের দেয়। মালি, দারোয়ান, ড্রাইভার— সবার খোঁজ রাখে মা। আর যেহেতু আমি মায়ের অসম্ভব ক্লোজ তাই আমার মধ্যেও এই ব্যাপারগুলো এসে গেছে।
এবং কোনও দিন যদি বাড়ি আসেন দেখবেন আপনার বাড়ি যতটা সাধারণ, আমাদের বাড়িটাও মা কতটা সাধারণ রেখেছে। বন্ধুরা বলত আমার বাড়ি আসার আগে ওদের ধারণা ছিল এখানে বিরাট বিরাট পোস্টার থাকবে, ‘আরকে ফিল্মস’য়ের গান বাজবে। চারিদিকে ফিল্ম ফিল্ম গন্ধ বেরোবে। এসে ওরা নিজেরাই শকড হয়ে যায়। অল ক্রেডিট টু মিসেস নীতু কপূর।
পালি হিলে আপনার বাড়ি ‘কৃষ্ণা রাজ’য়ের বাইরে তো দেখেছি সারাদিন মেয়েরা ভিড় করে থাকে আজকাল। মা-বাবা কী বলেন ...
বাবা বলে, এত দিন কাজ করলাম মেয়েরা বাড়ির বাইরে কোনও দিন এল না। আর মা জানলা দিয়ে দেখে আমাকে বলে, ‘‘ওদেরকে একটু ওয়েভ করে দে, বেচারিরা সকাল থেকে রয়েছে।’’
‘কৃষ্ণা রাজ’ তো রিনোভেট করছেন...
হ্যাঁ, ‘কৃষ্ণা রাজ’ ভেঙে আমরা আরও বড় একটা বাড়ি বানাচ্ছি। সেই সব কাজ, আর্কিটেক্টের সঙ্গে বসা— বেশির ভাগটাই বাবা করছে। আমি ইনপুটস দিচ্ছি আমার মতো করে।
রেনোভেশনের জন্যই আপনি শিফট করে অন্য ফ্ল্যাটে থাকছেন...
কারেক্ট। একদম তাই।
মিডিয়াতে খবর, ক্যাটরিনা কইফের সঙ্গে একসঙ্গে থাকার জন্যই নাকি মা-বাবার বাড়ি ছেড়ে দিলেন...
(হাসি) দেখুন, আমি ফিল্ম ফ্যামিলিতে বড় হয়েছি। গসিপের ইম্পর্ট্যান্সটা আর কেউ না বুঝুক আমি বুঝি। এটুকু জানি গসিপ যখন আপনার নামে কেউ ছড়াচ্ছে তখন ছড়াতে দিন। কোনও ভাবে ক্ল্যারিফিকেশন দেবেন না। আমি নিজেকে অত সিরিয়াসলি
নিই না।
বাকি স্টাররা কিন্তু গসিপ শুনলেই নাক সিঁটকোন...
বাকিদের কথা বলতে পারব না। আরে করছি তো সিনেমা, পৃথিবী বাঁচাতে তো আসিনি। আমি গসিপ নিয়ে এতটুকু বদার্ড নই। নিজে গসিপ করি, শুনতেও ভাল লাগে। আর আমার নামে গসিপ না হলে আমার খারাপই লাগবে। জাস্ট বিয়িং ভেরি অনেস্ট।
মাঝখানে তো রেগে গিয়েছিলেন, ক্যাটরিনা আর আপনার বিচের ছবিগুলো মিডিয়াতে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য।
অনেক দিন ধরে ভাবছি এটা ক্লিয়ার করব। আজকে সোজাসুজি বলি। আমার পকেটে আইফোন, আপনার হাতেও আইফোন। আমরা সেলফিও তুললাম একসঙ্গে। সেখানে বিচে ক্যাটরিনা আর আমাকে দেখে যে লোকে ছবি তুলবে সেটাই ন্যাচারাল।
আজকের এই স্মার্টফোনের যুগে তাদের জিজ্ঞেস করা কেন ছবি তুললে, গিয়ে তাদের ফোন থেকে ছবি ডিলিট করা— এসব বোকামো। আমার ছবি তোলা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই।
তার পরে মিডিয়া যে সব গল্প বানাতে শুরু করল সেগুলো ঠিক ছিল না। ছবি পেয়েছ, ছাপাও। তার পর বলা হল, ছবি দেখে নাকি আমার ফ্যামিলি অখুশি। এই নিয়ে আমার আর ক্যাটরিনার ঝগড়া হয়েছে— এগুলো পুরো ওয়ার্ক অব ফিকশন। এ সবে আপত্তি ছিল আমার।
বিয়ে কবে করছেন?
দেখি। এ বছর আমার প্রচুর কাজের চাপ। ক্যাটরিনারও তাই। এ বছর তো মনে হয় সময় বের করতে পারব না। পরের বছর শেষের দিকে করব ভাবছি। এখনও অবধি তো সেটাই আমার আর ওর প্ল্যান।
বিয়ে নিয়ে আগে তো খোলাখুলি এ রকম বলেননি।
আজকে সম্পর্কটা নিয়ে আমরা দু’জনেই খুব শিওর। এখন কথা না বললে সম্পর্কটাকে সম্মান দেখানো হবে না, তাই না? আমি আজকে ৩৩। আমি চাই আমার পরিবার হোক। ক্যাটরিনাও তাই চায়। লুকোনোর কোনও মানেই হয় না।
এত অনেস্টি কিন্তু সুপারস্টাররা কম দেখান।
(হাসি) ওটা তাদের ব্যাপার। কিছু ব্যাপার ওরা করে না, আমি করি। কিছু ব্যাপার আমি করি না, ওরা করে।
আপনি কী করেন না, যেটা ওরা করে?
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাভয়েড করি। কোনও সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাকে দেখতে পাবেন না। এমনিতেই আজকে ফিল্মের বাইরে বিজ্ঞাপন আছে, অ্যাওয়ার্ড শো, পার্টি আছে। রোজ কিছু না কিছু ইভেন্টে ছবি বেরোয়।
স্টারের রহস্য বলতে তো আর কিছু নেই। আমি এই মিস্ট্রিটা রাখতে চাই। দর্শক কী ফ্যান— এরা যেন ঠিক রিলিজের আগেই আমাকে দেখতে পায়। আই ট্রাই টু এনশিওর দ্যাট। আর কী হবে সোশ্যাল মিডিয়াতে থেকে?
নানা বিষয়ে মিডিয়া কী আপনার ফ্যানেরা আপনার মত জানতে পারবেন...
আমি মনে করি, একজন অভিনেতার সব বিষয়ে কথা বলাই উচিত নয়। যদি বলি সেটা আমার ড্রয়িং রুমে আমার বন্ধুদের সামনে। আমি একটা জিনিস টুইটারে লিখলাম, তার পর সেটার অন্য একটা মানে হল, আমি একেবারেই সেটা চাই না। আমি কোথায় সুসু করলাম, কোথায় গাড়ির তেল ভরলাম— সেটা আমার সবাইকে জানানোর দরকার নেই।
এ বার একটু আপনার পরের ছবি ‘বম্বে ভেলভেট’ প্রসঙ্গে আসি।
অবশ্যই।
শুনলাম মুম্বই থেকে দিল্লি ফ্লাইটে স্ক্রিপ্ট পড়ে এতটাই ভাল লেগেছিল যে নিজেই নাকি অনুরাগ কাশ্যপকে ফোন করেছিলেন আপনি।
একেবারেই তাই। আমি কিন্তু তার আগে অনুরাগ কাশ্যপের কোনও ছবি দেখিনি। একটাও না। কিন্তু এই স্ক্রিপ্টটা ফ্লাইটে পড়তে পড়তে আমার এত ভাল লাগে যে, অনুরাগকে বলি আমি এই ছবিটা করতে চাই। পুরো ছবিটার পিরিয়ড হল ১৯৪৮-১৯৬৯। এ রকম পিরিয়ড ছবি করার ইচ্ছে আমার অনেক দিন ধরেই। সেই ৫০-৬০-এর দশকের ছবি দেখতাম দাদুর। সেই থেকেই এই পিরিয়ডটার প্রতি আমার একটা ফ্যাসিনেশন। ছবিতে একটা সরু গোঁফও রেখেছি। কিশোর কুমারের সেই সময়ের লুকটা কপি করে।
আপনি হিরো ছবিতে। কর্ণ জোহর ভিলেন...
ভাবা যায়! এই ছবিতে ‘খামবাট্টা’র চরিত্রে কর্ণ জোহর কিন্তু ফ্যান্টাস্টিক।
আমাকে যখন অনুরাগ বলে কর্ণকে কাস্ট করবে, আমি ভেবেছি ও ইয়ার্কি মারছে। একটা ট্রিভিয়া দিই। এই ছবিটা অনুরাগ আট বছর ধরে প্ল্যান করেছে। প্রথমে ‘খামবাট্টা’র চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল নাসির স্যরের (নাসিরুদ্দিন শাহ)। কিন্তু অনুরাগ যখন নাসির স্যরকে বলে ও কর্ণ জোহরকে কাস্ট করতে চায়, নাসির স্যর বলেছিল, ‘‘ইট ইজ দ্য বেস্ট কাস্টিং ইন রিসেন্ট টাইমস।’’ আজকের বলিউডের এই ফ্লেক্সিবিলিটিটা আমার দারুণ লাগে।
বলিউড বদলে যাচ্ছে দ্রুত। এটাই কি সঠিক সময় নয় ‘আরকে’ ব্যানারটা রিভাইভ করার?
রাইট টাইম তো বটেই। কিন্তু আপনাকে মিথ্যে বলব না। মুশকিল হয়েছে, আমি যে রকম ছবিতে বিশ্বাস করি, আমার জেঠু মানে রণধীর কপূর, কী ছোটচাচা রাজীব কপূর কী বাবা সেই রকম ছবি বানানোতে বিশ্বাস করে না। তাই কিছুতেই আমাদের চিন্তাধারা এক হচ্ছে না। সেটাই প্রধান সমস্যা।
কথা বলেছেন বাবা-কাকাদের সঙ্গে?
আমাদের বাড়িতে এসে দেখবেন, আমরা ফিল্ম ছাড়া কিছু নিয়ে আলোচনা করি না। সত্তর বছর তো এটাই করছি রে বাবা! ওবামা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, ইউক্রেনিয়ান ক্রাইসিস নিয়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু ঘুরে ফিরে আমরা সিনেমার আলোচনাতেই ফিরব। আর আমাদের কাছে সিনেমা মানে এন্টারটেনমেন্ট। কোনও ইন্টেলেকচুয়াল ব্যাপার নয়। এই বিষয় নিয়ে কথাও হয়েছে, কিন্তু খুব একটা লাভ এখনও হয়নি।
কিন্তু আপনি তো নিজে অন্য রকম ছবি করেন। আপনি তো মেনস্ট্রিমে থেকেও ইন্টেলেকচুয়াল...
আমার কাছে মেনস্ট্রিম মানে শুধুই ঢিসুম ঢিসুম নয়। মেনস্ট্রিমেও তো বুদ্ধিদীপ্ত ছবি করা যায়। আমাকে সেটা বেশি টানে। এবং বলিউড কিন্তু সে দিকে যাচ্ছে। আমার সিনিয়ররা, মানে তিনজন খান আর অজয় দেবগন ধীরে ধীরে নিজেদের বদলাচ্ছেন। ‘দবাং’ কী ‘পিকে’ পাঁচ বছরে একটা হবে, বাকি সময়টা আমাদের বুদ্ধিদীপ্ত ছবির মধ্যেই এন্টারটেনমেন্টটা বার করতে হবে। আর একটা জিনিস আমি করেছি...
কী সেটা?
আমার যে ছবিটা দারুণ লাগছে, সেটার আমি কো-প্রোডিউসর হয়ে যাচ্ছি। তা হলে আমার কাজ করার তাগিদটা বেড়ে যাচ্ছে। যে ডিরেক্টর সে আরও সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে। এ জন্যই অনুরাগের (বসু) সঙ্গে ‘জগ্গা জসুস’ বানাচ্ছি। অনুরাগও জানছে আমি কতটা ইনভল্ভড। আমি দেখছি ও কতটা সিরিয়াস। এতে ছবির লাভ।
কিন্তু অনেকের কাছেই শুনি, আপনিও সেই একই ট্র্যাপে পড়ে গিয়েছেন। সেই গোটাকয়েক পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করছেন।
একদম ঠিক বলেছেন। ট্র্যাপে পড়েছি। লোকের ধারণা ঠিকই যে আমি হয় কাশ্যপ, নয় বসু, না হয় ইমতিয়াজের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তা কিন্তু নয়। কিন্তু পারসেপশনটা তাই। আজকে সত্যিই নিউকামারদের স্ক্রিপ্ট আমার কাছে আসে না। খুব দুঃখের সেটা। আমি চাই নিউকামাররা আমাকে স্ক্রিপ্ট পাঠাক।
কী করে পাঠাবে? রণবীর কপূর তো আর তাদের ফোন ধরবে না...
কেন, মেলে পাঠাক! আমি আনন্দplus- এর মাধ্যমে কলকাতার ডিরেক্টরদের বলতে চাই তাঁরা যদি আমাকে তাঁদের স্ক্রিপ্ট পাঠান আমি অবশ্যই চেষ্টা করব সেগুলো পড়ে দেখার। সবগুলো পড়তে পারব না এখনই বলে দিচ্ছি। তবে চেষ্টা করব অবশ্যই পড়তে।
ইমেল আইডি-টা কি লিখতে পারি আনন্দplus-এ?
অবশ্যই। ranbirkapoor@gmail.com।
এত কাজ করছেন— ছুটি নিতে ইচ্ছে করে না?
কী হবে ছুটি নিয়ে! ধুর! আমি তো ছুটি নেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই বোর হয়ে যাই। আমার এই ফাস্ট-পেসড জীবনটাই ভাল লাগে। ছুটি নিলে তো মোমেন্টামটাই চলে গেল। আর ‘বরফি’, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’র পর যে জায়গাটায় পৌঁছে ছিলাম সেটা তো নিজের হাতে নষ্ট করলাম।
‘বেশরম’ আর ‘রয়’য়ের মতো ফ্লপ ছবিতে অভিনয় করে?
একেবারেই তাই। মিডিয়া, দর্শক কী পেটান পিটিয়েছে আমাকে ওই দু’টো ছবি করার জন্য। এবং ঠিকই করেছে। নিজেকে বড্ড চালাক মনে করেছিলাম। ভেবেছিলাম তিনটে ফাইট, দু’টো নাচ, চারটে ডায়লগ দিলেই লোকে বাহ বাহ করবে। কিন্তু বুঝলাম আমার পদ্ধতিটা ভুল ছিল। তাই ছুটি দূরে থাক, আমি এখন শুধু কাজ করে আমার সেই হারানো জায়গাটা ফিরে পেতে চাই।
কপূর খানদানে আপনি এক্সেপশন। আপনাকে মাঝেমধ্যে রেবেল মনে হয়।
রেবেল নই। কিন্তু আমার বাকি ফ্যামিলি মেম্বারদের থেকে সিনেমা নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। আর আমি আমার ফ্যামিলি নেমটার কথা ভেবে নিজের উপর প্রেশার বাড়াই না কখনও।
আমি রাজ কপূরকে দেখে ভাবি না এটা আমার দাদাজির ছবি। কী শাম্মী কপূরকে দেখে ভাবি না, কী ভাল নাচত আমার ছোটাদাদাজি।
আমি ওদের ফ্যান ততটাই যতটা আপনি ওদের ফ্যান। আমি ব্যাপারটা সে রকমই রাখতে চাই।
শশী কপূর তো এ বছর দাদাসাহেব ফালকে পেলেন...
হ্যাঁ, শুধু শাম্মীদাদাজি পেলেন না এটা ভাবলে একটু কষ্ট হয়। শশীদাদাজির উপর একটা ভিডিয়োর ভয়েস ওভার আমি করেছি। করতে করতে মনে হল, আমরা কী সেলফিস হয়ে যাচ্ছি।
ও রকম একজন মানুষের কত শরীর খারাপ, কিন্তু আমরা কী তাকে নিয়ে একটুও বদার্ড! বড্ড বেশি আমরা আমাদের ছবি, আমাদের লাইফস্টাইল নিয়ে সেল্ফ সেন্টার্ড হয়ে গিয়েছি। কারও আর বড়দের জন্য সময় নেই।
আপনি দেন বাবা-মাকে সময়?
বাবা বিন্দাস থাকেন। নিজের জগৎ নিয়ে ব্যস্ত। বাবার থেকেও মায়ের সঙ্গে তো আমি প্রচুর সময় কাটাই।
আপনার তো প্রচুর ইয়াংস্টার ফ্যান। তাদের কিছু বলবেন?
তাদের বলব, রণবীর কপূর যদি স্টার হতে পারে তা হলে পৃথিবীতে সব সম্ভব। আমি ভীষণ অ্যাভারেজ স্টুডেন্ট ছিলাম, স্পোর্টসে ভাল না। স্কুলে ড্রামাটিক্সে কেউ কোনও দিন আমাকে নেয়নি। তার পর একদিন সঞ্জয় লীলা বনশালিকে অ্যাসিস্ট করতে ‘ব্ল্যাক’য়ের সেটে গেলাম।
সে দিন মনে হল, আরে, এই কাজটা তো ভাল। এটা মন দিয়ে করি। ইয়াংস্টারদের বলব, যে কাজটা করতে সবচেয়ে ভাল লাগে সেটা প্রথমে ডিসাইড করো। তারপর সেই প্রোফেশনে এক নম্বর হওয়ার জন্য ছোটা শুরু করো।
শুক্রবার তো আনন্দplus দফতরে আসছেন।
হ্যাঁ, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’র সময় গিয়েছিলাম। কলকাতা যেতে আমার দারুণ লাগে। সেই পৃথ্বীরাজ কপূরের থেকে আমাদের কলকাতা কানেকশন রয়েছে। ‘বরফি’র শ্যুটিংও করেছিলাম। ‘জগ্গা জসুস’য়ের দু’দিনের শ্যুটিংও করব ওখানে। শুক্রবার সবার সঙ্গে দেখা হবে।
অফিসে এলে কী খাবেন বলুন?
শুনলাম অনুরাগ বসু নাকি আনন্দplus-কে বলেই দিয়েছে আমার কী ভাল লাগে খেতে। বিরিয়ানিটা মাস্ট। মিষ্টিও রাখবেন। কপূর তো আফটার অল, ভাল খাবারটা ছাড়তে পারি না... (হাসি)