কী ভাবনা থেকে গল্প লিখছেন লীনা? ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি দিন ধারাবাহিক দেখতে দেখতে কাহিনিগুলোর সঙ্গে একাত্ম হয়ে যান দর্শক। অনেক সময় চিত্রনাট্য নিয়ে নিজেদের অভিযোগ-অনুযোগও প্রকাশ্যে আনেন অনুরাগীরা। তেমনই ঘটল আবারও। ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকে এখন যে গল্প দেখানো হচ্ছে তা মেনে নিতে পারছেন না দর্শকদের একটা বড় অংশ। প্লুটোর অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। ধারাবাহিকের লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে দর্শকাংশের প্রশ্ন, কেন তিনি এ ভাবে গল্প সাজাচ্ছেন তিনি? অনেক মা-বাবার অভিযোগ, এমনিতেই চারদিকে এমন অনেক ঘটনা ঘটছে। তার পর পর্দাতেও এ ধরনের ঘটনা দেখানো হলে তা প্রভাব ফেলে। এ প্রসঙ্গে কী বক্তব্য লেখিকা লীনার?
তাঁর মতে, গল্প গল্পের নিয়মে চলে। তিনি যোগ করেন, “কাহিনির অংশ হিসাবে এই দৃশ্য এসেছে। এই গল্প পূর্বনির্দিষ্ট ছিল। এই কাহিনিতে সামাজিক বার্তাও আছে।” সমাজে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, যেখানে দেখা যায়, মা-বাবার চাপে পড়ে অনেক সময় কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে সন্তানেরা। ছেলে, মেয়ে কী করবে, কী পরবে, কার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবে— সবটা নির্ধারণ করে দেন বাবা-মায়েরা।
লেখিকা বললেন, “একটা বয়সের পরে এটা করা যায় না। মা-বাবাদের সেটাও ভাবা উচিত। এ টুকুই বলতে চাই। যে কোনও কাহিনির একটা নিজস্ব গতি আছে। আর মৃত্যুকে বাদ দিয়ে জীবন নয়।” তা হলে এই গল্পে কি প্লুটো আর ফিরবে? সেই উত্তর অবশ্য অধরাই রাখলেন লেখিকা।