দীপবীরের রিসেপশন পার্টিতে তিনি যখন এলেন, হাঁ হয়ে তাকিয়ে রইলেন সক্কলে। আর তাকিয়ে তো থাকারই কথা! চার-চারটে বছর তাঁর কোনও পাত্তাই ছিল না। লাইমলাইটের আড়ালে ছিলেন র্যাপার হানি সিংহ। সেই হানি সিংহকেই এখন চেনা দায়। চেহারায় এসেছে অনেক পরিবর্তন।
চার বছর আগে পর্যন্ত পার্টি সং বলতে হানি সিংহের গান ছাড়া আর কিছুই বুঝত না বলিউড। সেই র্যাপার বহু দিনই ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। চার বছর পর দেখা দিলেন র্যাপার হানি সিংহ। তা-ও আবার দীপিকা পাড়ুকোন আর রণবীর সিংহের রিসেপশন পার্টিতে। দীপিকা-রণবীরের সঙ্গেই হানির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আর এক নামজাদা র্যাপার গুরু রান্ধয়া।
চেহায়ার ভারিক্কি। বড় চুল আর গাল ভর্তি দাড়ি। গান তিনি গাইছিলেন। কিন্তু দেখা দিচ্ছিলেন না। হানি সিংহের গলায় সম্প্রতি ‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’ ছবির ‘দিল চোরি’ গানটিও বেশ হিট হয়েছিল। হানি সিংহের ভক্তদের মনপসন্দ হয়েছিল ‘উর্বশী’ গানটিও। কিন্তু প্রিয় গায়কের চেহারায় এ হেন পরিবর্তন দেখে একেবারে হতবাক ফ্যানেরা।
কিন্তু কেন এত দিন বেপাত্তা ছিলেন হানি? বলিউডে এক সময়ে জোর গুজব রটে, হানি সিংহ নাকি দিনরাত নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতেন। আর সেই নেশাতুর অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই রিহ্যাবে তাঁর চিকিৎসা চলছে বলেও শোনা গিয়েছিল।
তবে সেই খবরকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন গায়ক নিজেই। সংবাদমাধ্যমকে হানি জানিয়েছিলেন, বাইপোলার ডিসঅর্ডারে তিনি ভুগছিলেন। উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় নিজের বাড়িতেই প্রায় ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে ছিলেন গায়ক।
হানি সিংহ সে সময়ে বলেছিলেন, ‘‘তিন জন চিকিত্সক আমার চোখের চিকিৎসা করতে ব্যর্থ হন। তখন মনে হচ্ছিল আর হয়তো কোনও দিনও চোখে দেখতে পাব না। ২০ হাজার মানুষের সামনে আমি পারফর্ম করতাম। কিন্তু একটা সময়ে ৪-৫ জন মানুষের সামনে দাঁড়াতেও আমার ভয় হত। মাসের পর মাস চুল-দাড়ি কাটারও ইচ্ছে হত না।’’
যদিও মুখ যেমন তিনি দেখালেন। খুব শীঘ্রই আবার নিজস্ব অ্যালবাম নিয়েও ফিরছেন ইয়ো ইয়ো হানি সিংহ। সেই গানের ফার্স্ট লুকও মুক্তি পেয়েছে। টি-সিরিজের সঙ্গে হানি সিংহের সেই গানও মুক্তি পাবে খুব শীঘ্রই।