প্রতিবাদী জ়ুবিন গার্গ। ছবি: সংগৃহীত।
জ়ুবিন গার্গকে হিন্দি ভাষাভাষী মানুষেরা হয়তো চেনেন ‘ইয়া আলি’ গায়ক হিসেবে। তবে জ়ুবিন শুধু হিন্দি নয়, অসমীয়া, বাংলা-সহ ৪০টি ভাষায় গান গেয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর গায়কের আকস্মিক প্রয়াণ ঘটেছে। তার পর থেকে যেন অন্য অসমকে দেখল গোটা ভারত। একজন শিল্পীর জন্য রাস্তায় লাখো মানুষের ঢল। কেউ কাঁদছেন, কেউ আবার শিল্পীর শোকে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন। এককথায় ‘ঘরের ছেলে’র মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না অসম। বহু বার হয়েছে, নেশাচ্ছন্ন অবস্থায় মঞ্চে উঠেছেন, তবু অভিযোগ করেননি দর্শক। বরাবরই ছক ভাঙতে ভালবাসতেন তিনি। নিজে ব্রাহ্মণ হয়েও রীতির বিরুদ্ধে গিয়ে খুলে রেখেছিলেন পৈতে।
জ়ুবিন তখন বলিউডে একের পর এক গান গাইছেন। প্রায় প্রতিটি গানই হিট। এমনই একটা সময়ে তিনি বলিউডে গান গাওয়া বন্ধ করে দেন। মুম্বই ছেড়ে চলে আসেন অসমে।
এই জ়ুবিনই একসময় কেরিয়ারের জন্য ছেড়েছিলেন অসম। কিন্তু সাফল্য পেতেই শিকড়ের টানেই ফিরে আসেন অসমে। কোনও ধর্মে বিশ্বাস রাখতেন না জ়ুবিন। ২০২৪ সালে একটি কনসার্টে গিয়ে সেই সংক্রান্ত মন্তব্য করায় বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তিনি সটান বলেন, ‘‘আমার কোনও ধর্ম নেই, আমার কোনও জাত নেই, আমি মানুষ। এটাই পরিচয়।’’
তিনি সমাজে শ্রেণিবিভাজন কিংবা জাতিবিভাজনের বিরোধী ছিলেন। কোভিড অতিমারির সময় জ়ুবিনের অচেনা রূপ দেখেছিল দেশ। গুয়াহাটিতে দোতলা বাড়িতে থাকতেন গায়ক। কোভিডের সময় আক্রান্তদের জন্য নিজের বাড়ির দরজা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, সরকারের বিরোধিতাও করেছেন নানা কারণে। কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছেন। ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে গিয়ে সরকারবিরোধী বক্তব্যও পেশ করেছেন।