মেগাসিরিয়াল করতে করতেও ওয়ার্ল্ড কাপ দেখা যায়

পরের সোমবার সন্ধে সাতটা থেকে রাহুল আবার টেলিভিশনে। দ্বিতীয় বার টিভির পর্দায় আসার আগে কথা বললেন অদিতি ভাদুড়ি-র সঙ্গে।পরের সোমবার সন্ধে সাতটা থেকে রাহুল আবার টেলিভিশনে। দ্বিতীয় বার টিভির পর্দায় আসার আগে অদিতি ভাদুড়ি-র সঙ্গে কথা বললেন রাহুল।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৪ ০০:০১
Share:

খেলা দেখছেন?

Advertisement

হ্যাঁ, লাইভ দেখারই চেষ্টা করছি। একেবারে সম্ভব না হলে এইচডি রেকর্ডিংয়ে দেখি। সাড়ে তিনটের ম্যাচগুলো দেখতে পারছি না যদিও। শ্যুটিং যেতে দেরি হবে তা হলে। তবে খেলার স্কোর একবার জেনে গেলে সেই ম্যাচ দেখে খুব একটা মজা হয় না।

Advertisement

কাকে সাপোর্ট করেন?

আমি আর্জেন্টিনার খুব বড় ফ্যান।

৩০-জুন সন্ধে সাতটায় তো আপনার ছোটপর্দার ম্যাচ ওপেনিং। ‘তুমি আসবে বলে’র অভিজ্ঞতা কেমন? এই প্রথম তো কোনও মেগাসিরিয়ালে দেখা যাবে আপনাকে...

আমার চরিত্রের নামও এখানে রাহুল। সে খুব ভাল সন্তান, ভাল বন্ধু, ভাল বিজনেসম্যান। এখানে তার লড়াই একজন ভাল বাবা হয়ে ওঠার।

গল্পটা বলবেন একটু?

রাহুল দেবরায়, এই সিরিয়ালের প্রধান চরিত্র, একমাত্র একটা জায়গাতেই ভুল করে ফেলেছে। যাকে ভালবেসেছে, সেই ‘নন্দিনী’ (সন্দীপ্তা সেন) তাঁকে সেই ভালবাসা ফেরত দিতে পারেনি। নন্দিনী বিবাহিত। ঘটনাচক্রে নন্দিনীর আবার বিয়ে হয় রাহুলের সঙ্গে। শুরু হয় রাহুলের একই সঙ্গে ভালবাসা পাওয়ার এবং একজন ভাল বাবা হয়ে ওঠার লড়াই...

আশা করি প্রত্যেক দিন সন্ধে সাতটায় দর্শকরা ভালই এনজয় করবেন সিরিয়ালটা।

সন্দীপ্তার সঙ্গে অভিনয় করতে কেমন লাগছে?

খুব ইন্টেলিজেন্ট অভিনেত্রী। খুব গুণীও। ভাল লাগছে খুবই।

‘টেক ওয়ান’, ‘অভিশপ্ত নাইটি’ থেকে ‘তুমি আসবে বলে’— ‘চিরদিনই...’-র রাহুলের বড়পর্দা থেকে ছোটপর্দায় আসার কারণটা ঠিক কী?

সত্যি বলতে ‘টেক ওয়ান’, ‘বেডরুম’, ‘অভিশপ্ত নাইটি’ বা ‘কাগজের ফুল’য়ে যে চরিত্রগুলো করেছি, তা খুব বেশি মাত্রায় আর্বান। শহুরে দর্শকদের কাছেই এই ছবিগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বেশি। মাস-এর সঙ্গে খুব একটা রিলেট করে না। ‘চিরদিনই’ কিন্তু আমাকে শহর, মফস্বল সব জায়গাতেই গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছিল। মাস-এর সঙ্গে কমিউনিকেট করার মজাটাই আলাদা। ছোটপর্দায় আসাটা কিছুটা ওই কারণেই। অবশ্য আরও একটা কারণ আছে। আমি চাই না আমার ছেলে বড় হলে ওর হাতে খারাপ কিছু ছবির ডিভিডি আসুক। যে ছবিগুলো আমি খালি সংসার টানার জন্য করতে বাধ্য হয়েছিলাম।

টিভির শিড্যিউলটা তো বড্ড কঠিন। ছেলে সহজ, স্ত্রী প্রিয়ঙ্কাকে সময় দিতে পারছেন?

শ্যুটিংটা করছি আসলে টেকনিশিয়ান্স স্টুডিয়োয়। আমার বাড়ির বেশ কাছেই। শ্যুটের মাঝে যখনই সুযোগ পাচ্ছি, তখনই বাড়ি গিয়ে ছেলের সঙ্গে একটু খেলে আসছি। বা প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে আড্ডা মেরে আসছি।

আপনার টিভিতে কাজ করা নিয়ে প্রিয়ঙ্কা কী বলছেন?

আলাদা করে কিছু না বললেও প্রিয়ঙ্কা বেশ খুশি। সিরিয়ালের প্রোমোগুলো যদিও ও খুব এনজয় করছে।

টিভিতে দর্শকরা কত দিন দেখতে পাবেন আপনাকে?

দেখুন, সেটা তো দর্শকই ভাল বলতে পারবেন। আমি চাই দর্শকরা আমাকে ভালবাসুন। আর তাঁদের পছন্দ না হলে তো সরে যেতেই হবে...

এতগুলো সিনেমায় কাজ করেছেন। এখন আবার টিভিতেও নতুন করে কাজ শুরু করলেন। ছোটপর্দা-বড়পর্দার মধ্যে তফাতটা ঠিক কী ধরনের?

আসলে একটা সিনেমা ২৫ দিনে শেষ করে ফেলা যায়। আরও একটা জিনিস মনে হয় যে, সিনেমার ক্যামেরাগুলো অনেক বেশি পাওয়ারফুল। তাই ওখানে খুব বেশি অ্যাক্টিং না করলেও চলে।

অভিনয় না করলে কোন পেশায় দেখা যেতে পারত আপনাকে?

লেখক হতাম। যদিও ওই পেশায় টাকা অত পাওয়া যায় না। আসলে ছোট থেকে বাড়িতে সাংস্কৃতিক পরিবেশে মানুষ হয়েছি। আমি নবারুণ ভট্টাচার্যের কোলে পিঠে মানুষ। সেই পরিবেশটা খুব স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই পেয়ে এসেছি।

“তুমি আসবে বলে বসন্ত এসে পেরিয়েছে চৌকাঠ

তুমি আসবে বলে শিশিরে শিশিরে ভরে গেছে মাঠঘাট”

গানের প্রথম তিনটে শব্দ অবিকল রেখেছি।

সিরিয়ালের টাইটেল ট্র্যাকের গানটায় তো আর রাজনীতির গল্প নেই।

পুরোটাই প্রেমের আবহে। তাই মূল গানের রাজনৈতিক অনুষঙ্গ বদলে দিয়েছি। দু’টো ভার্সানে গাওয়া হয়েছে গানটা। মহিলা কণ্ঠে গানটি গেয়েছেন সুদেষ্ণা গঙ্গোপাধ্যায়।

দু’জায়গাতেই শুধু কথা নয়, গানের সুরও পাল্টে দিয়েছি। রেফারেন্স হিসেবে রেখেছি মূল গানটাকে।

অরিজিনাল গানটা তো খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। আশা করি, ‘তুমি আসবে বলে’ সিরিয়ালের টাইটেল ট্র্যাকটাও সিরিয়ালের মতোই জনপ্রিয় হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন