স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দারচিনির রকমারি পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন। ছবি:ফ্রিপিক।
ওজন বাড়ছে, হজমের গোলমাল? বাড়িতে কারও ডায়াবিটিস রয়েছে? সমস্যা অনেক। তবে তার সমাধান হতে পারে হেঁশেলের ছোট্ট একটি উপকরণেই। মশলা হিসাবে ব্যবহৃত দারচিনির গুণাগুণ এমনই। এটি আসলে গাছের ছাল। পুষ্টিবিদ রূপালি দত্ত বলছেন, ‘‘দারচিনিতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস এবং প্রদাহনাশক উপাদান ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী।’’ তা ছাড়া অতিরিক্ত মেদ গলাতেও সাহায্য করে দারচিনি।
গরমের দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া খুব জরুরি। তাই দৈনন্দিন ডায়েটে যোগ করতে পারেন দারচিনি দিয়ে তৈরি পানীয়।
দারচিনি চা: নামে চা হলেও, এতে চা পাতার ব্যবহার হয় না। বরং শরীর ভাল রাখতে সকালে উঠে সকালে খান দারচিনির চা। জলে দারচিনি ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। ঈষদুষ্ণ পানীয় চায়ের মতো খেলেই হবে। খালি পেটে দারচিনি-চা খেলে মেদ গলবে দ্রুত। বদহজমের সমস্যা কমবে। রক্তে বশে থাকবে শর্করা।
দারচিনি দুধ: দুধ সুষম খাদ্য হিসাবেই বিবেচিত। ভিটামিন, খনিজে ভরপুর দুধের পুষ্টিগুণ অনেক। দুধে থাকা ল্যাক্টোজ় হজমে সমস্যা না থাকলে দুধের মধ্যে মিশিয়ে নিতে পারেন দারচিনির গুঁড়ো। গরম নয়, বরং হালকা গরম দুধ খান ঘুমোতে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে। এই পানীয় শুধু শরীর ভাল রাখতে নয়, ভাল ঘুমেও সাহায্য করে।
দারচিনি গ্রিন টি: অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর গ্রিন টি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করতে, প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। ডায়াবেটিকদের জন্য তাই গ্রিন টি উপকারী। গ্রিন টি তৈরির সময় দারচিনির গুঁড়ো মেশাতে পারেন কিংবা দারচিনির যোগ করতে পারেন। পরে সেটি ছেঁকে নিলেই হবে। গ্রিন টির গুণাগুণের সঙ্গে জুড়ে যাবে দারচিনিও গুণও। দারচিনি বিপাকহার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে, ওজন কমাতেও এই পানীয় উপযোগী।