বলিউড অভিনেত্রী করিনা কপূরের পুষ্টিবিদ রুজুতার দিবেকর সুস্থ থাকার সহজ তিন পরামর্শ দিলেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
শীত মানেই সর্দিগর্মি, খুকখুকে কাশি। রয়েছে চুল ঝরার সমস্যাও। শীতে যাতে জবুথবু না হয়ে চনমনে থাকা যায়, সুস্থ রাখা যায় নিজেকে সেই পরামর্শই দিলেন মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর।
ওজন বশে রাখা, সুস্থ থাকা মোটেই কঠিন কাজ নয়— এমন বার্তাই বার বার দেন রুজুতা। বি-টাউনের নায়িকা করিনা কপূরের পুষ্টিবিদ হিসাবে সকলের নজর কেড়েছিলেন তিনি। এখন তিনি সকলের জন্যই এমন অনেক পরামর্শ দেন।
রুজুতা কোনও কঠিন ডায়েট আর চটজলদি ফলে বিশ্বাসী নন। বরং ভারতীয় সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন জীবনে যা করা সম্ভব, তার উপরেই জোর দিয়েছেন তিনি। এ বার বললেন, ডিসেম্বরের তিন করণীয় কাজ। পু্ষ্টিবিদের কথায়, জীবনে সহজ এবং ছোট্ট বদলই হতে পারে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি।
বজরা: জোয়ার-বজরার রুটি বা খাবার লোকে খান না, সুস্বাদু নয় বলেই। তা ছাড়া বজরার রুটি একটু শক্তও হয়। তবে পুষ্টিগুণ নিয়ে সমাজমাধ্যমে চর্চা শুরু হতেই অনেকে সেই ব্রাত্য খাবারই নতুন করে ডায়েটে জুড়ছেন। পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর বলছেন, বেশি নয়, সপ্তাহে এক দিন বজরার রুটি, লাড্ডু বা অন্য কিছু খেলেই হবে। এর কারণও বলছেন রুজুতা। বজরা ডায়েটে জুড়লে চুল ঝরা কমবে, তরতাজা লাগবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে, যা শীতের অন্যতম সমস্যা। বজরার আটার রুটি শক্ত হয়, খাওয়া যায় না। সে কারণে আটা মাখার সময় ঘি বা মাখনের ময়ান দিতে বলছেন তিনি। তা ছাড়া আটা মাখার সময় কিছুটা চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বজরার রুটির সঙ্গে রসুনের চাটনি এবং একটু গুড় খেতে বলছেন তিনি। এতে বজরার রুটি হজম করা এবং পুষ্টিগুণ পাওয়া সহজ হবে।
স্ট্রেচিং
স্ট্রেচিংয়ের কৌশল শেখালেন রুজুতা দিবেকর। ছবি: সংগৃহীত।
স্ট্রেচিং করতে গিয়ে ‘স্ট্রেস’ নিতে বারণ করছেন রুজুতা। শীতে গা হাত-পায়ের জড়তা ছাড়িয়ে সুস্থ থাকতে স্ট্রেচিং-এর পরামর্শ তাঁর। তবে কঠিন কিছু নয়। চেয়ারে পা রেখে হাত-পা টানটান করে নিতে বলছেন। পায়ের পেশি যাতে শক্তপোক্ত থাকে, সে দিকে নজর দিতে বলছেন। সহজ কয়েকটি স্ট্রেচিং- মাংসেপশি সবল রাখতে এবং দিনভরের কাজ, দৌড়ঝাঁপ সামলাতে সাহায্য করবে পরামর্শ রুজুতার।
স্ক্রিন জ়োন: দৈনন্দিন জীবনের অনেকটা অংশ জুড়ে এখন রয়েছে স্মার্ট ফোন। খাওয়ার টেবিলে বসে কী খাচ্ছেন, সেই হুঁশ অনেকের থাকে না। শিশুরাও ফোন দেখেতে দেখতেই খেতে চায়। রুজুতার পরামর্শ, বাড়ির একটি কোণে স্ক্রিন জ়োন তৈরির। শুধুমাত্র সেখানে দাঁড়িয়ে ফোন দেখতে হবে। খাওয়ার টেবিল তো বটেই, শোয়ার ঘরও মোবাইল-হীন রাখার এই একটা উপায় বার করেছেন তিনি। মনোবিদ থেকে মনশ্চিকিৎসকেরাও বার বার স্ক্রিন টাইম সীমিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন। সেই পরামর্শ অন্য ভাবে দিলেন রুজুতাও।
পুষ্টিবিদের কথায়, খুব ছোট ছোট বদলই সুস্বাস্থ্যের হাতিয়ার হতে পারে। ছোট ছোট অনেক নিয়মই ধীরে ধীরে ওজন কমাতে বা বশে রাখতে সাহায্য করবে।