পরীক্ষার সময় সন্তানের শরীর ভাল রাখতে কোন পানীয় বেছে নেবেন?
রুটিন মেনে পড়া এক রকম। তবে পরীক্ষার সময় বদলে যায় সেই নিয়ম। পরীক্ষা মানেই পড়ার সময়টাও বেড়ে যায় বেশ খানিকটা। কেউ রাত জেগে পড়ে, আবার কেউ ভোর থেকে। অভ্যাস যেমনই হোক না কেন, ঘুম তাড়ানোর জন্য অনেকেরই পছন্দ কফি। ছোট পড়ুয়াদের জন্য চা-কফি ব্রাত্য হলেও, কৈশোরের পর থেকে অনেকেই এমন পানীয়ে চুমুক দেয়। কফি ঘুম তাড়াতে, শরীর চনমনে রাখতেও সাহায্য করে।
তবে চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরাই বলেন, বার বার কফিতে চুমুক দেওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। তা ছাড়া রাত জেগে পড়া, ভোরে ওঠার ফলে ঘুমেও ঘাটতি হয়। যার জেরে হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এমন সময় শরীর সুস্থ রাখাটাও জরুরি। তা ছাড়া, দিনভর পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়ায় দরকার। ফলে শরীর সুস্থ রাখতে, চনমনে থাকতে কোন পানীয় দেবেন সন্তানকে?
গ্রিন টি: সন্তান বড় হলে, চা-কফি খেতে শিখে গেলে চনমনে থাকতে তারা মূলত এমন পানীয় বেছে নেয়। তবে শরীরের খেয়াল রাখতে হলে, বার বার কফি বা দুধ চায়ের বদলে দিতে পারেন গ্রিন টি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ গ্রিন টি শরীর তরতাজা রাখতে সাহায্য করে, এটি স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভাল। তবে গ্রিন টি দিনে এক থেকে দু’বারই যথেষ্ট।
ডাবের জল: মুম্বইয়ের ফিজ়িয়োথেরাপিস্ট আইজাজ আশাই বলছেন, ইলেক্ট্রোলাইট জাতীয় পানীয় বা ডাবের জল শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। ডাবের জলে সোডিয়াম, পটাশিয়াম-সহ বিভিন্ন ভিটামিন থাকে। পুষ্টিবিদ পূজা মখিজা বলছেন, জলের ঘাটতি হলে শরীর অসুস্থ হতে পারে। সে কারণে পর্যাপ্ত জল খাওয়া দরকার। পানীয় হিসাবে চা, কফির বদলে পাতিলেবুর শরবত, টাটকা ফলের রস রাখা যেতে পারে।
পুষ্টিকর পানীয়: পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় পুষ্টিতে ঘাটতি থাকলে চলবে না। সে কারণে বেছে নেওয়া যেতে পারে বাদাম কিংবা ফলের শেক।
লস্যি, দইয়ের ঘোল: পরীক্ষার আগে পড়ুয়াদের মনে ভয় থাকে। দুশ্চিন্তাও থাকে। যার জেরে হজমেও প্রভাব পড়ে। পেটের জন্য দই সব সময়েই ভাল। এতে থাকা প্রোবায়োটিক হজমে সহায়ক। ফলে দিনে এক বার দইয়ের ঘোল বা লস্যি জাতীয় পানীয় দিতে পারেন সন্তানকে।
ভেষজ চা: চায়ে থাকে ক্যাফিন। সেটি স্বল্প মাত্রায় শরীরে গেলে ক্ষতি না হলেও বার বার খেলে সমস্যা হবে। সে কারণে আদা চা, লবঙ্গ চা বা অন্য কোনও ভেষজ চা দিতে পারেন তাকে। গরম পানীয়ে ক্লান্তি কাটবে।