— প্রতীকী চিত্র।
বর্ষার মরসুমে রাস্তায় জমা জল। সেই জল ভেঙেই নিত্যদিন কাজে বেরতে হচ্ছে। রাস্তার জমা জলের মধ্যে নানা জীবাণু থাকে। জমা জলে ঘন ঘন পা ভিজলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। অনেকেরই এই সময়ে পায়ে ঘায়ের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
ত্বকের কোনও অংশে মৃত কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এবং সেখানে রক্ত সঞ্চালন কম হলে, ঘা তৈরি হতে পারে। অনেক সময় জল থেকে ত্বকে এই ধরনের ঘা তৈরি হতে পারে।
কারণ কী
১) যাঁদের ডায়াবিটিস এবং ধমনীর কোনও সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে পায়ে রক্তসঞ্চালন বেশি না হলে এই ধরনের ঘা হতে পারে।
২) বর্ষায় জমা জলে পা ভেজানোর পর পা ভাল করে না ধুলে সেখানে বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া ত্বকের সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
৩) ভেজা মোজা বা জুতো বেশি ক্ষণ পরে থাকলেও ত্বকে সংক্রমণ ঘটে ঘা তৈরি হতে পারে।
শনাক্তকরণ
পায়ে কোনও ঘা হওয়ার আগে কয়েকটি লক্ষণকে অবহেলা করা উচিত নয়—
১) যদি হাঁটুর নীচের কোনও অংশে ব্যথা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
২) পায়ের ত্বকের কোনও গোলাকার অংশের রং (কালো, নীল বা সবুজ) বদলে যাওয়া।
৩) পা থেকে ঘন ঘন দুর্গন্ধ বের হওয়া বা পুঁজ তৈরি হওয়া।
৪) পায়ের কোনও অংশ যদি ফুলে যায় এবং জ্বর আসে, তা হলে সাবধান হতে হবে।
৫) পায়ের যেখানে ব্যথা হচ্ছে, সেখানে ত্বক যদি ফ্যাকাসে বা খসখসে হয়ে যায়, তা হলে চর্মরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।