ধমনীতে প্ল্যাক জমছে অস্বাস্থ্যকর খাবারে। ছবি: সংগৃহীত।
ধমনীর ভিতরের দেওয়ালে চর্বি, কোলেস্টেরল, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পদার্থ জমে জমে প্লাক তৈরি হয়। যার ফলে ধমনী সরু ও আড়ষ্ট হয়ে যায়। অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্তচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও অন্যান্য হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। একেই বলা হয় অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস। কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব সুস্থ যাপনের মাধ্যমে। গুজরাতের চিকিৎসক সুমিত কাপাডিয়া বললেন কয়েকটি খাবারকে জীবন থেকে বাদ দিলেই হার্টের বহু রোগ ধারেকাছে ঘেঁষবে না।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে কয়েকটি খাবার থেকে দূরে থাকলে। ছবি: সংগৃহীত।
৬ ধরনের খাবার ধমনীতে প্লাক জমা এবং প্রদাহ সৃষ্টির জন্য দায়ী—
প্রক্রিয়াজাত মাংস: সোডিয়াম এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভর্তি এই ধরনের খাবার। এলডিএল অর্থাৎ ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী প্রক্রিয়াজাত মাংস। অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো বিপজ্জনক রোগ তৈরি করতে পারে এই খাবার।
ছাঁকা তেলে ভাজা: ট্রান্স ফ্যাট ভর্তি বলে ছাঁকা তেলে ভাজা খাবার শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকারক। এগুলি প্রদাহ সৃষ্টি করে ধমনীর ক্ষতি করতে পারে।
চিনিজাতীয় খাবার: সোডা বা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় কিংবা খাবার রক্তে হঠাৎ শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে ইনসুলিন রেজ়িস্ট্যান্স সৃষ্টি করে ধমনীর পথ সরু এবং আড়ষ্ট করে দিতে পারে।
ফুল-ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য: সাধারণত দুগ্ধজাত পণ্য ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মাখন এবং ফুল-ফ্যাট চিজ় খাওয়া হয়, তা হলে শরীরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেড়ে যেতে পারে। এর ফলেই ধমনীতে প্লাক জমা শুরু হয়।
প্যাকেটজাত স্ন্যাক্স এবং ফাস্ট ফুড: চিপ্স, ইনস্ট্যান্ট নুড্লস, হিমায়িত কয়েক ধরনের খাবারে উচ্চ পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট এবং সোডিয়াম থাকে। এই দু’টি উপাদানই ধমনীর পথ বন্ধ করার জন্য দায়ী।
চিকিৎসক বলছেন, রাতারাতি ধমনীতে প্লাক জমে পথ বন্ধ হয় না। কিন্তু এই খাবারগুলি দীর্ঘ দিন ধরে খেলে ধীরে ধীরে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো রোগের কবলে পড়তে পারেন। তাই স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া করার গুরুত্ব এতটাই। ক্ষতিকারক খাবার এড়িয়ে চললে হার্টের বহু রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।