সুনীল শেট্টীর স্বাস্থ্যকর রুটিন। ছবি: সংগৃহীত।
৬৪ বছরেও সুঠাম দেহ, নজরকাড়া ফিটনেস। চেহারায় স্পষ্ট হয়ে রয়েছে তারুণ্য। নেপথ্যে, ব্যায়াম আর দৈনিক ১৬০০ ক্যালোরির খাদ্যতালিকা। এই বয়সেও প্রত্যেকটি দিন রুটিন মেনে চলেন অভিনেতা সুনীল শেট্টী। রোজের খাওয়ার পাতে হিসেব কষে পুষ্টি উপাদান যোগ করা হয়েছে। যদিও সুনীল কৃচ্ছ্রসাধনে বিশ্বাসী নন। নিজেকে সব কিছু থেকে বঞ্চিত করার পক্ষপাতী নন তিনি, বরং নিয়ন্ত্রণে থেকে আনন্দ করাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেন। আর তাই মিষ্টি খাওয়া থেকেও বঞ্চিত রাখেন না নিজেকে।
সকালে সুনীল চারটি ডিমের সাদা অংশ খান, কুসুম তাঁর পছন্দ নয়। কারণ, দিনশুরুর জন্য প্রোটিন-নির্ভর জলখাবারই তাঁর পছন্দ। দুগ্ধজাত পণ্য সহ্য করার ক্ষমতা কম বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সারা দিনে মাছ-মাংস খেয়ে প্রোটিনের চাহিদা মেটান সুনীল। প্রায় ১৫০-২০০ গ্রাম মাছ-মাংস খেতে হয় তাঁকে। মোট ১৬০০-১৭০০ ক্যালোরি মেপে খান সুনীল।
ক্যালোরি মেপে খাবার খান সুনীল। ছবি: সংগৃহীত।
খাদ্যতালিকা থেকে চিনি পুরোপুরি বাদ দেওয়ায় বিশ্বাসী নন অভিনেতা। কারণ, চিনির বিকল্পে ভরসা নেই তাঁর। চিনির বদলে বড়জো়ড় ফল খেতে রাজি সুনীল। কিন্তু খাবার পর মিষ্টিমুখ না করলে অস্থির হয়ে পড়েন তিনি। তাই খাওয়ার শেষে ফল হোক খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাঁর। কখনও সখনও অল্প মিষ্টিও খান।
সকালে ও সন্ধ্যায় এক কাপ করে চা খা তিনি। রান্নায় নুনের ক্ষেত্রে খানিক কার্পণ্য করেন সুনীল। কিন্তু একই সঙ্গে খাবারের উপর অল্প নুন ছড়িয়ে নেওয়ার অভ্যাস রয়েছে, যাতে স্বাদবৃদ্ধি হয়। গোলাপি নুন বা ওই ধরনের জিনিসের বদলে সাধারণ নুনের প্রতিই ভরসা তাঁর। রাতে ৭টার মধ্যে নৈশভোজ সেরে নেন, যাতে হজমে সমস্যা না হয়।
প্রোটিন-নির্ভর ডায়েট ছাড়াও শরীরচর্চার প্রতি আকর্ষণ তাঁর ছোট থেকেই। মাত্র ১২-১৩ বছর বয়স থেকে মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেছিলেন সুনীল। ইচ্ছে ছিল, ক্রিকেটার হবেন। ফলে ভারোত্তোলন থেকে শুরু করে পুল-আপস, সব রকম ব্যায়ামের দিকে বিশেষ নজর দিতেন তিনি। এখনও ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা টানা জিমে ঘাম ঝরান সুনীল।
ষাটোর্ধ্ব অভিনেতা মনে করেন, বেশি বয়সে ফিট থাকতে হলে ঘরোয়া খাবারের উপর ৮০ শতাংশ নির্ভরশীলতা প্রয়োজন। বাকি ১০ শতাংশ শরীরচর্চা এবং ১০ শতাংশ দৈনিক যাপনে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসই সুস্থতার চাবিকাঠি। যেমন ভোরে ঘুম থেকে ওঠা, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া, ইত্যাদি।