আমির খানের ফিটনেস মন্ত্র। ছবি: সংগৃহীত।
কখনও কলেজপড়ুয়া, কখনও দুই প্রাপ্তবয়স্কা মেয়ের বাবা। কখনও কুস্তি প্রশিক্ষক, কখন আঁকার শিক্ষক। চরিত্র অনুযায়ী চেহারা বদল করে বার বার প্রমাণ করেন, তিনিই বলি টাউনের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। সেই আমির খানের সবচেয়ে চমকপ্রদ, আকর্ষণীয়, চর্চিত রূপান্তরগুলির মধ্যে একটি ছিল ‘দঙ্গল’। মহাবীর সিংহ ফোগটের জুতোয় পা গলানোর জন্য কী কী প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, সে সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আমির তাঁর ফিট থাকার মন্ত্র, খাদ্যাভ্যাস খোলসা করেছিলেন। ৬০-এর কোঠা পেরোনোর পর কী ভাবে সুস্থ থাকা যায়, তা আমিরের থেকে শেখা যেতে পারে।
‘দঙ্গল’-এর জন্য এই সূত্র মেনেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন আমির। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানো, সুস্থ থাকা, পেশির জোর বাড়ানো, সবের জন্য নির্দিষ্ট একটি নিয়ম অনুসরণ করেন বলে জানিয়েছিলেন। ৫০-২৫-২৫ ফিটনেস সূত্র। আমিরের কথায়, ‘‘অনেকেই ভাবেন, কেবল ব্যায়ামই যথেষ্ট। কিন্তু সত্যিটা হল, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ছাড়া, শারীরিক প্রশিক্ষণ কাজ দেবে না। আপনার খাদ্যাভ্যাস সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি বলব ৫০ শতাংশ বদল আসে আপনি যা খান তা থেকে, ২৫ শতাংশ আসে ব্যায়াম থেকে এবং বাকি ২৫ শতাংশ পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম থেকে। অর্থাৎ খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চার পাশাপাশি আট ঘণ্টা ঘুমের খুব প্রয়োজন। নয়তো শরীর আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া দেবে না।’’
ডায়েট নিয়ে মানুষের মধ্যে এত বিভ্রান্তি দেখে হতাশ হন বলেন। কেউ প্রায়শই মিল বাদ দিয়ে দেন, কেউ রাতে ভাত খান না, কেউ প্রায় কিছু খানই না, কেউ আবার বেশি খেয়ে ফেলেন। কিন্তু তিনি এই ধরনের কৃচ্ছ্রসাধনে বিশ্বাস করেন না। বহু দিন ধরে প্রচলিত সেই নিয়ম, ক্যালোরি ঘাটতি বজায় রাখাতেই ভরসা রাখেন আমির। তাঁর কথায়, ‘‘ধরা যাক, আপনার শরীর প্রতি দিন ২০০০ ক্যালোরি পোড়ায়। আপনি যদি ২০০০ ক্যালোরিই গ্রহণ করেন, তবে ওজন কমবে না। যদি ১,৫০০ ক্যালোরি গ্রহণ করেন, তা হলে সেখানে ৫০০ ক্যালোরির ঘাটতি থাকছে। এক সপ্তাহের মধ্যে, এটি ৩,৫০০ ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি করবে। আপনি যদি রোজ প্রায় ৭ কিলোমিটার হাঁটেন, তবে এটি ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দেবে। খাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং সোডিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলি থাকতে হবে।’’ তা ছাড়া একই ভাবে ঘুমকে প্রাধান্য দেন আমির। পর্যাপ্ত এবং ভাল ঘুম ছাড়া শরীর সুস্থ হয় না বলে মনে করেন তিনি।