Rohit Roy Fitness and Diet

দিনে মাত্র দু’বার খাবার খান, বছরে দু’বার পঞ্চকর্ম! খাওয়ার সময়ে ঠিক কত শতাংশ পেট ভরান রোহিত?

৫৬ বছর বয়সেও অভিনেতা রোহিত রায় একই ভাবে নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করে চলেছেন। শরীরচর্চা তাঁকে মানসিক জোর দেয়, আনন্দ দেয়, জীবনের ওঠানামার মধ্যে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস দেয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ১৯:০৬
Share:

রোহিত রায়ের খাদ্যাভ্যাস কেমন? ছবি: সংগৃহীত।

ব্যস্ত শুটিং শিডিউল, ভোর থেকে রাত পর্যন্ত কাজ, তার উপর একটানা প্রতিযোগিতা— তার মাঝেও নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। বাঙালি পরিবারের জন্ম অভিনেতা রোহিত রায়ের। ৫৬ বছর বয়সেও তাঁর স্বাস্থ্যসচেতনতা, ফিটনেস নজির গড়েছে। বোঝা যায়, মুম্বইয়ের গ্ল্যামার দুনিয়ায় নিজের মাটি শক্ত রাখতে আজও তিনি একই ভাবে নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করে চলেছেন। রোহিতের মতে, কেবল অভিনেতা বলেই শরীরচর্চা করেন না তিনি। এই একটি বিষয় তাঁকে মানসিক জোর দেয়, আনন্দ দেয়, জীবনের ওঠানামার মধ্যে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস দেয়। বয়স বাড়লেও তাঁর চেহারা প্রমাণ করে দেয়, ভাল অভ্যাসই হল তারুণ্যের রহস্য।

Advertisement

জিমে কখনও একঘেয়েমি আসে না রোহিতের। প্রতি দিন ব্যায়ামের মধ্যে বৈচিত্র এনে আরও আকর্ষণীয় করে তোলেন জিমের সময়টিকে। এক দিন বারবেল নিয়ে ব্যায়াম করলে পরের দিন ডাম্বেল সঙ্গী হয়। এক দিন, ইনক্লাইন, অন্য দিন ডিক্লাইন। তাঁর মতে, শরীরকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ না দিলে সুফল মিলবে না। আর ফিটনেস শুধু জিমেই তৈরি হয় না, খাবারদাবারেও সমান গুরুত্ব দিতে হয়।

জিমে কখনও একঘেয়েমি আসে না রোহিতের। ছবি: সংগৃহীত।

এক বার মাত্র ২১ দিনে ১২ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন রোহিত। শুনে মনে হতে পারে, অসাধ্যসাধন করেছেন তিনি। কিন্তু রোহিতের কাছে তা একেবারেই কঠিন কাজ নয়। আর তারহ জন্য তিনি কৃতিত্ব দিতে চান আয়ুর্বেদের বিশেষ শুদ্ধিকরণ পঞ্চকর্মকে। বছরে দু’বার এই রুটিন তাঁর বাঁধাধরা। রোহিত জানালেন, এতে শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত উপাদান বেরিয়ে যায়, হজমশক্তি বাড়ে, শরীর হালকা ও সতেজ হয়। রোহিতের কথায়, “এটা শুধু শরীর নয়, মনকেও নতুন শক্তি দেয়।”

Advertisement

কড়া খাদ্যাভ্যাসে থাকেন রোহিত। দিনে মাত্র দু’বার ভারী খাবার খান। দুপুরে ও রাতে। এ ছাড়া বিকেলে ফল আর এক কাপ চা বা কফিই যথেষ্ট। সকালে দিন শুরু করেন খেজুর, কলা ও শুকনো ফল মেশানো দুধের শেক দিয়ে, যা সারা দিন ধরে শক্তি জোগায়। প্রক্রিয়াজাত খাবার ছুঁয়েও দেখেন না রোহিত। খাবার খাওয়ার সময়ে ৬০-৭০ শতাংশ পেট ভরে গেলেই খাওয়া বন্ধ করে দেন রোহিত। তিনি খেয়াল রাখেন, পুরো পেট যেন কোনও ভাবেই না ভরে।

রোহিতের মতে, নিরামিষ হোক বা আমিষ— শরীরে প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রাখা উচিত। নিরামিষাশী রুটি, সব্জি, ডাল, কেউ বা ডিমও খেতে পারেন। আর আমিষপ্রেমীরা মাংস এবং টুনার উপর ভরসা রাখতে পারেন। রোহিত রায়ের জীবনযাত্রা যেন প্রমাণ করে—সুস্থ থাকা মানে শুধু শরীরচর্চা নয়, বরং সঠিক খাবার, শৃঙ্খলা আর মনকে আনন্দে রাখার কৌশল মেনে চলা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement