বয়সের চাকা উল্টোদিকে ঘুরবে কোন জাদুবলে? ছবি: ইনস্টাগ্রাম
বয়স ৫৬। আর পাঁচজন যখন বলেন, অনেক তো হল,আর কি এত খাটাখাটনি সয়? ভাগ্যশ্রী তখন বোঝান, শেখান এবং প্রমাণ করেন, বয়স নিছক সংখ্যামাত্র। এই বয়সের বেশির ভাগ লোকজনই যখন গেঁটে বাতের সমস্যায় কাতরাচ্ছেন, হাত ওঠা-নামা করতে গিয়ে ব্যথায় কাতর, স্থূলত্ব নিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন, তখন ভাগ্যশ্রী সাবলীল ভাবে শরীরচর্চা করছেন, খাচ্ছেন, ঘুরছেন। বলিরেখা নেই, শরীরে বাড়তি মেদ নেই, হাঁটাচলাতেও সমস্যা নেই।
‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’-র নায়িকা বহু দিন বড় পর্দা থেকে দূরে। অভিনয় জগতে সে ভাবে দেখাও যায় না তাঁকে। তবু সমাজমাধ্যেম তিনি সৌন্দর্য এবং সুস্থতা নিয়ে নিজস্ব অভিজ্ঞতালব্ধ কৌশল ভাগ করে নেন।
সাক্ষাৎকার এবং সমাজমাধ্যমের ভিডিয়োয় প্রকাশ বছর ৫৬-এর ভাগ্যশ্রীর তারুণ্য এবং ফিটনেস কথা। এই বয়সেই তিনি যেন ৩০-এর মতোই ফিট। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া নয়, বরং যত দিন বাঁচা যায়, সুস্থ-সবল ভাবেই সকলে থাকতে চাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক। সেই কৌশলই শেখা যায় অভিনেত্রীর কাছ থেকে।
সমাজমাধ্যমে ভাগ্যশ্রী বলছেন, ‘‘বয়স যা-ই হোক না কেন, ফিট থাকতে চাইলে নিয়মিত ৩০-৪০ মিনিট শরীরচর্চা জরুরি।’’ তলপেটের মেদ কমাতে হবে, ভাগ্যশ্রী নিজেই শিখিয়েছেন পাঁচ ব্যায়াম, যা যে কোনও বয়সেই করা চলে। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন "পেটে মেদ জমা আটকানোর সহজ উপায় হল ঠিকমতো খাবার বেছে নেওয়া। এবং সেটি সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে খাওয়া।’’
মেপেজুপে খাওয়ায় বিশ্বাসী এক সময়ের বলিউড অভিনেত্রী। তবে তা বলে উৎসব-পার্বণের দিনে সুস্বাদু খাবার বাদ দেওয়ার পক্ষপাতী তিনি নন। তাঁর পরামর্শ, এক-আধ দিন ক্যালোরি মেপে না খেলেও চলে, তবে সেটা দৈনন্দিন নিয়মে পরিণত করলেই বিপদ।
ভাগ্যশ্রীর পরামর্শ, নিজের শরীরকে বোঝার। অনেক সময় শরীরও অনেক ইঙ্গিত দেয়। যেমন চোখের নীচে বা পায়ে আচমকা ক্ষণিকের কাঁপুনির কারণ হতে পারে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পালংশাক, কাঠবাদামের বীজ রাখলে এমন সমস্যা দূর হতে পারে। নখ একটু বড় করতে গেলেই ভেঙে যাচ্ছে? শরীরে আয়রনের অভাব হলে এমন হয়। ডায়েটে প্রাণিজ খাবার, পালংশাক, বিট, গুড় রাখলে এই সমস্যা সহজেই দূর হবে।
দৈনন্দিন ডায়েট, শরীরচর্চা আর শরীরের ইঙ্গিত বুঝলেই, বয়সকে বশে রাখা যে সম্ভব, নানা সময় তা শিখিয়ে চলেছেন ভাগ্যশ্রী।