খুশবু সুন্দরের ওজন হ্রাসের যাত্রা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
তামিল ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা রাজনীতিক। খুশবু সুন্দর। বয়স ৫৪ বছর। কিন্তু তাঁর সাম্প্রতিক ছবি ও ভিডিয়ো দেখে অনুরাগীদের বক্তব্য, তাঁর বয়স যেন কমেই চলেছে। যত দিন যাচ্ছে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য, রূপের ছটা বেড়েই চলেছে। একই সঙ্গে ফিটনেসও চোখে পড়ার মতো। আসলে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০২১ সালে। সেই সময়ে এক ধাক্কায় ২০ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন খুশবু। সময় লেগেছিল মাত্র ৯-১২ মাস।
অভিনেত্রী-রাজনীতিকের চেহারায় আমূল বদল দেখে অনুরাগীরা ভেবেছিলেন, নিশ্চয়ই কোনও ওষুধের সাহায্যে ছিপছিপে হয়েছেন খুশবু। উপরন্তু অনেকের ধারণা হয়েছিল, তিনি সম্ভবত জটিল কোনও অসুখে ভুগছেন, তাই এমন শীর্ণকায় হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সে সব জল্পনা-কল্পনাকে ফুৎকারে উড়িয়ে খুশবু জানিয়েছিলেন, খাদ্যাভ্যাস ও সক্রিয় থাকার উপর নির্ভর করে ওজন ঝরিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি নিজের এই যাত্রার সঙ্গে পরিচয় করান অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী-রাজনীতিকের চেহারায় আমূল বদল। ছবি: সংগৃহীত।
খুশবু তাঁর দৈনন্দিন রুটিন খানিক অদলবদল করেই লক্ষ্যভেদ করেছেন—
· খুশবু বলেন, ‘‘সকালে এক ঘণ্টা ব্যায়াম করি। সন্ধ্যায় ৪৫-৫০ মিনিটের জন্য হাঁটতে বেরোই। যদি হাঁটতে যাওয়া না হয় কোনও দিন, সে দিন দ্বিগুণ ব্যায়াম করি। সকালে এক ঘণ্টা, বিকেলে এক ঘণ্টা শরীরচর্চা।’’
· গত ৩০ বছরে এক দিনও জিমে যাননি খুশবু। নিজের ঘরেই যন্ত্র ছাড়া ব্যায়াম করেন তিনি।
· প্রোটিন এবং ফাইবার ভরা জলখাবার খেতেন তিনি। ফলে অনেক ক্ষণ পর্যন্ত খিদে পেত না তাঁর।
· ডায়েট থেকে ময়দা এবং চিনি সম্পূর্ণ রূপে বাদ দিয়েছিলেন খুশবু। উচ্চ-প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলি থেকে দূরে থাকতেন। পরিবর্তে দানাশস্য, ডাল, ইত্যাদি খেতেন তিনি।
· মধ্যাহ্নভোজে একেবারে সাদামাঠা খাবারদাবার থাকত পাতে। ডাল, সব্জি, স্বল্প পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট।
· নতুন প্রজন্ম যেটিকে ‘মাইন্ডফুল ইটিং’ বলে, সেই অভ্যাস তৈরি করে লাভবান হয়েছেন খুশবু। অর্থাৎ কী খাচ্ছেন, কী ভাবে খাচ্ছেন, সে বিষয়ে মনোযোগী হয়ে ওঠা।
· ডিপ ফ্রাই করা খাবারের দিকে তাকাতেন না খুশবু। এর ফলে কেবল যে ওজন হ্রাস হয়েছে, তা-ই নয়, হজমের সমস্যা, পেট ফাঁপার মতো সমস্যার মুখোমুখিও আর হতে হয়নি।