Cycling Health Benefits

জিমে গিয়ে শরীরচর্চা অপছন্দ? পথপ্রদর্শক হতে পারেন বলি তারকা, কী করতেন তিনি?

শরীরচর্চা করতে ভাল লাগে না অনেকেরই। অথচ সুস্থ থাকতে গেলে অল্প-বিস্তর ব্যায়াম জরুরি। কী করবেন? অভিনেত্রী সোনালি কুলকার্নির পন্থা নিয়ে দেখতে পারেন। শুধু শরীর নয়, খারাপ মনও ভাল হবে এতে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫ ১৫:৩৯
Share:

সোনালি কুলকার্নি জিমে যাননি, ঘরে বসেও ব্যায়াম করেননি। তা হলে তাঁর শরীরচর্চা হত কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা জরুরি, বলেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা। কিন্তু ঘরেই হোক বা জিমে, ব্যায়াম, আসন বা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ় করার নামেই গায়ে জ্বর আসে অনেকেরই। কিন্তু যদি এমন হয়, আলাদা করে শরীরচর্চার দরকারই হল না? দৈনন্দিন জীবনেই জুড়ে রইল শরীর সচল রাখার রসদ, তা হলে?

Advertisement

বলিউড তারকা সোনালি কুলকার্নির পন্থাও অনুসরণ করে দেখতে পারেন। বছর ৫০-এর অভিনেত্রীর ছেলেবেলা থেকে কলেজজীবন কেটেছে পুণেতেই। এক সাক্ষাৎকারে একসময়ের নায়িকা জানিয়েছেন, ‘‘কোনও এক জায়গায় দাঁড়িয়ে শরীরচর্চা করার মানসিকতা আমার ছিল না। তাই মুক্তির পথ ছিল সাইকেল। খোলা হাওয়ায়, প্রকৃতির মাঝে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘুরে বেড়াতাম। ভীষণ উপভোগ্য ছিল সেই সময়টা।’’ সোনালির বক্তব্য, সাইকেল চালানো মানেই প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসা। এসির দরকার নেই, নির্দিষ্ট স্থানে বসে ব্যায়াম করতে হবে না। অথচ শরীর ভাল থাকবে। এ যেন এক অপরিসীম মুক্তির আনন্দ। গায়ে রোদ লাগবে। ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি হবে।

বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বাড়তে থাকে সোনালির। প্রাথমিক স্কুল থেকে উচ্চ বিদ্যালেয়ের গণ্ডি। তার পর কলেজ। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর জীবনই এগিয়েছে দু’-চাকায় ভর করে। প়ড়তে যাওয়া, নাচের ক্লাস— নানা কাজে গণপরিবহণের উপর নির্ভর না করে সাইকেলই বেছে নিয়েছিলেন। কলেজে পৌঁছোনোর পর সঙ্গী হয় বাইক। ভাইয়ের বাইক ধার করে কলেজে যেতেন তিনি।

Advertisement

দু’চাকাই বড় হওয়ার সঙ্গী ছিল অভিনেত্রীর। ছবি: সংগৃহীত।

সোনালির স্বামী নাচিকেত পন্তবৈদ্য। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের প্রেমও এগিয়েছে দুই চাকাতেই। দু’জনেই কথা বলার চেয়ে বেশি খুশি হতেন ফুরফুরে হাওয়ায় দুই চাকার বাহনকে সঙ্গী করে।

বলি তারকা যেমন দুই চাকায় মুক্তির স্বাদ পেয়েছিলেন, ঠিক তেমনটাই আপনিও পেতে পারেন জীবনে। সাইকেল চেপে দিব্যি পাড়ি দেওয়া যায়, এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। সেই পথটুকু অন্য যানবাহনে পাড়ি দিতে পরিবেশের যত ক্ষতি হয়, তা কিন্তু হয় না সাইকেলে। কার্বন নির্গমনের প্রশ্ন নেই, ফলে পরিবেশের ক্ষতি হয় না। জ্বালানি লাগে না বলে, অর্থও সাশ্রয় হয়। তার উপর সাইকেল চালানোর ফলে ব্যায়াম হয় শরীরেরও।

সাইকেল কী ভাবে শরীর এবং মন ভাল রাখে?

প্যাডেল করে সাইকেল চালানোর ফলে পায়ের পেশি মজবুত হয়। এতে কার্ডিয়ো ভাস্কুলার ব্যায়াম হয়, ফলে হার্ট ভাল থাকে। সাইকেল চালানোর ফলে যেহেতু পুরো শরীরের ব্যয়াম হয় তাই ক্যালোরি ক্ষয় হয় দ্রুত। দৌড়োলে পা ও হাড়ের সংযোগস্থলে বেশি চাপ পড়ে। কিন্তু সাইকেলের প্যাডেল চালানোর ক্ষেত্রে হাড়ের সংযোগস্থলে অতিরিক্ত চাপ না পড়ায় বড় রকমের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।

শরীরের জন্য তো বটেই, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাইক্লিংয়ের ভূমিকা রয়েছে। সাইকেল চালানোর সময়ে নির্গত হয় এন্ডরফিন হরমোন, যা মনমেজাজ ভাল করতে বিশেষ জরুরি। সাইকেল চালালে বাইরের হাওয়া এসে লাগে চোখে-মুখে। শরীরের পাশাপাশি মনও তরতাজা হয়ে ওঠে তাতে। অবসাদ, উদ্বেগের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ভাল হয়, যার ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে। ঘুম ভাল হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement