টিপের আঠায় ক্ষতিকর রাসায়নিক, চর্মরোগ থেকে সতর্ক থাকুন। ছবি: এআই।
পরনে শাড়ি থাক কিংবা আঁটসাঁট জিন্স-টপ, দুই ভুরুর মাঝখানে একটা ছোট্ট টিপ পরলে, সাজ যেন বদলে যায়। শাড়ি, সালোয়ার কামিজের সঙ্গে টিপ পরার চল তো আছেই। তবে হাঁটুঝুল জামা কিংবা ট্রাউজার্স-টি শার্টের সঙ্গেও অনেকে টিপ পরেন। খুব বেশি সাজতে ভালবাসেন না, এমন অনেকেই পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে টিপ পরেই বেরিয়ে যান। টিপ যতই সুন্দর হোক, কেনার সময়ে দেখেশুনেই কিনতে হবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, টিপের আঠায় এমন কিছু রাসায়নিক থাকে যা থেকে চর্মরোগের আশঙ্কা বাড়ে। ‘বিন্দি লিউকোডার্মা’ নিয়ে সতর্ক করছেন চিকিৎসকেরা।
টিপের আঠা কতটা বিপজ্জনক?
টিপের আঠায় ‘পি-টার্শিয়ারি বুটাইল ফেনল’ নামে একধরেনর রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে যা দীর্ঘ সময় ত্বকের সংস্পর্শে থাকলে সেখানকার মেলানোসাইট কোষ নষ্ট করে দেয়। মেলানোসাইট কোষে থাকে মেলানিন নামক রঞ্জক যা ত্বকের রং নির্ধারণ করে। মেলানোসাইট নষ্ট হতে থাকলে, ত্বকের স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে যায়, তখন সেখানে দাগছোপ পড়তে থাকে। র্যাশ বার হয়, ফোস্কাও পড়ে। ত্বকের এই সমস্যাকে লিউকোডার্মা বলা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই যা থেকে শ্বেতির মতো চর্মরোগও দেখা দিতে পারে।
টিপের আঠা থেকে ‘কনট্যাক্স ডার্মাটাইটিস’ হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। সে ক্ষেত্রে টিপের আঠা কপালের যে জায়গায় লাগে সেখানে জ্বালা ভাব, চুলকানি, লালচে র্যাশ বেরিয়ে যায়। অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়।
সতর্ক থাকবেন কী ভাবে?
আঠা দেওয়া টিপের বদলে কুমকুম ব্যবহার করতে পারেন। অথবা বাড়িতে তৈরি টিপ ব্যবহার করলেও ভাল।
টিপ ব্যবহারের পর যদি ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব বা জ্বালা শুরু হয়, তবে টিপ পরা বন্ধ করুন।
নতুন কোনো টিপ পরার আগে একবার কনুইয়ের কাছে বা কানের পিছন দিকে লাগিয়ে দেখুন, অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হলে সেই টিপ আর পরবেন না।
আঠা লাগানো টিপ বেশি ক্ষণ পরে থাকবেন না। টিপ তোলার পরে সেই জায়গায় লেগে থাকা আঠা ভাল করে পরিষ্কার করুন।