রক্তচাপ বাড়বেই না, নতুন ওষুধ তৈরি করেছে অ্যাস্ট্রোজ়েনেকা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর নতুন ওষুধ নিয়ে গবেষণা সাফল্যের মুখে। নতুন ওকটি ওষুধ রক্তচাপের রোগীদের সমস্যা নির্মূল করতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে। ওষুধ ও প্রতিষেধক নির্মাতা সংস্থা অ্যাস্ট্রোজ়েনেকার তৈরি ওষুধ ব্যাক্সড্রোস্ট্যাট উচ্চ রক্তচাপ খুব দ্রুত কমিয়ে ফেলতে পারে বলে দাবি। ওষুধটি নির্দিষ্ট ডোজ়ে খেলে রক্তচাপের তারতম্য একেবারেই হবে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ব্যাক্সড্রোস্ট্যাট ওষুধটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে মানুষের শরীরে। অ্যাস্ট্রোজ়েনেকা র গবেষকেরা জানিয়েছেন, রক্তচাপ কমানোর যে সব চেনা ওষুধ বাজারে রয়েছে, সেগুলিকে পিছনে ফেলে দিতে পারে ব্যাক্সড্রোস্ট্যাট। ৭৯৬ জন উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের রোগীকে ওষুধটি নির্দিষ্ট ডোজ়ে খাইয়ে দেখা গিয়েছে, তাঁদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে কোনও সুস্থ ব্যক্তির স্বাভাবিক রক্তচাপ হওয়া উচিত ১৩০/ ৮০। বয়স-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের জন্যই এটা প্রযোজ্য। সেই মাপ ১৩০-এর বদলে ১৪০ হলেও ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কিন্তু তার বেশি হলে চিন্তার বিষয়। এই মাপের উপরের সংখ্যাটিকে বলে সিস্টোলিক চাপ ও নীচেরটিকে ডায়াস্টোলিক চাপ। দেখা গিয়েছে, নতুন ওষুধটির ডোজ়ে রোগীদের সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক চাপ প্রায় ৯/ ১০ এমএমএইচজি কমে গিয়েছে, যা অন্যান্য ওষুধে সম্ভবই নয়।
গবেষকেরা আরও জানিয়েছেন, ওষুধটি শরীরে হরমোনের ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিশেষ করে রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখে যে হরমোন অ্যাল্ডোস্টেরন, সেটির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে রক্তচাপও বশে থাকে। যে রোগীদের ওষুধটি খাওয়ানো হয়েছিল, তাঁদের ৩২ সপ্তাহ অবধি রক্তচাপের কোনও হেরফের হয়নি বলেই দাবি করা হয়েছে। তবে ওষুধটি এখনও গবেষণার স্তরে রয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল সন্তোষজনক মনে হলে, তবেই ওষুধটিকে সর্বসাধারণের জন্য নিয়ে আসার ছাড়পত্র পাওয়া যাবে।