পাউরুটির উপরেই জীবনচক্র নির্ভর করে, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে জলখাবারে টোস্ট, দুপুরে স্যান্ডউইচ। রাতে বাড়ি ফিরে রাঁধতে ইচ্ছে না করলে অনলাইনে অর্ডার করেন বার্গার। মোটামুটি পাউরুটির উপরেই জীবনচক্র নির্ভর করে, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। কেউ পাউরুটি সেঁকে বা গ্রিল করে খান। কেউ আবার দুধসাদা নরম, কাঁচা পাউরুটি খেতেই ভালবাসেন।
খেতে ভাল লাগলে কী হবে, কাঁচা পাউরুটি খেলে অম্বল হওয়ার ভয় আছে। শুধুই কি তাই? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কাঁচা পাউরুটি খেলে আচমকা রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়। তুলনায় কম হলেও আটা বা হোলগ্রেন পাউরুটির ক্ষেত্রেও বিষয়টা এক। ফিটনেস প্রশিক্ষক নিপা আশ্রম বলেন, “এই ধরনের সমস্যা এড়াতে পাউরুটি সেঁকে নেওয়াই শ্রেয়। তাতে রক্তে গ্লুকোজ়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার হার অন্ততপক্ষে ২৫ শতাংশ কমে যায়।” কী ভাবে? তিনি জানিয়েছেন, আগুনে পাউরুটি পুড়লে এক ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। তাতে কার্বোহাইড্রেট ভেঙে যায়। ফলে পাউরুটিতে থাকা মোট ক্যালোরির পরিমাণ কমে। রক্তে গ্লুকোজ় দ্রুত মিশতে পারে না। ফলে তা হজম করতে সুবিধা হয়। ‘ওয়াটার রিটেনশন’ বা শরীরের বিভিন্ন প্রকোষ্ঠে অতিরিক্ত জল ধরে রাখার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
এ ছাড়াও অধিকাংশ পুষ্টিবিদের বক্তব্য, কাঁচা পাউরুটি সেঁকে নিলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক, অর্থাৎ জিআই-এর মাত্রা তুলনামূলক ভাবে কমে যায়। তাই ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তা বিশেষ ভাবে কার্যকরী। এ ছাড়া আরও একটি পন্থায় পাউরুটি খেয়েও ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কী ভাবে? কাঁচা পাউরুটি টিফিনবাক্সে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন সারা রাত। পরের দিন তা টোস্ট করে খান। রক্তে শর্করার মাত্রা একধাক্কায় প্রায় ৪০ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে এই টোটকায়। উপরন্তু, পাউরুটির মধ্যে থাকা স্টার্চ ঠান্ডায় জমাট বেঁধে যায়, যা অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতেও সহায়তা করে।