হৃতিক রোশন এবং সুনয়না রোশন (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
জীবনের ব্যস্ততা যত বাড়ছে, ততই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নেপথ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ফ্যাটি লিভারকে নির্মূল করা সম্ভব। বলিউড অভিনেতা হৃতিক রোশনের দিদি সুনয়না রোশন দীর্ঘ দিন ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন যে, এখন আর তাঁর ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নেই।
২০০৭ সালে এক বিরল ক্যানসারে আক্রান্ত হন সুনয়না। ক্যানসার শরীরের লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম ছাড়াও জরায়ুমুখ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় চিকিৎসা। সুনয়না বলেন, ‘‘সেই সময় হঠাৎ আমার জন্ডিস ধরা পড়ে। একই সঙ্গে দেহে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায়। বুঝতে পারছিলাম, আমি ভাল নেই।’’
সুনয়না জানান, সেই সময়েই তিনি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হন। কারণ এর আগে খাওয়াদাওয়ার উপরে তাঁর বিশেষ নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সুনয়না বলেন, ‘‘তখন শরীরচর্চাও করতাম না। প্রায় প্রতিদিনই বাইরের খাবার খেতাম। যেন আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম। যে কোনও ভাবেই হোক বাইরের খাবার আমাকে খেতেই হবে!’’ তার ফলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও বাড়তে থাকে। রক্ত পরীক্ষায় সুনয়নার তৃতীয় পর্যায়ের ফ্যাটি লিভার ধরা পড়ে।
কিন্তু এক সময়ে সুনয়নার শরীর খারাপ হতে শুরু করে। তাই নিজের ভুল বুঝতে পেরে, নিত্যদিনের রুটিনে একাধিক পরিবর্তন আনেন তিনি। সুনয়না জানান, বিভিন্ন ধরনের ডিটক্স চা পানে তিনি উপকার পেয়েছিলেন। পাশাপাশি, ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ করে দেন। ফলে এক সময়ে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা তৃতীয় পর্যায় থেকে কমে প্রথম পর্যায়ে ফিরে আসে।
ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় এক বছর নিয়মিত শরীরচর্চা করেন সুনয়না। তিনি জানিয়েছেন, ভাজাভুজি খাওয়া বন্ধ করে সুষম আহার করতেন। তাঁর কথায়, ‘‘সুস্থ জীবনযাপন করা শুরু করি। তার পর আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে, আমার ফ্যাটি লিভার হয়েছে।’’ এক বছর পর নতুন করে রক্ত পরীক্ষা করান সুনয়না। ভয়ে ভয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু চিকিৎসক জানান, তাঁর পরীক্ষার ফলাফল ভাল এসেছে। সুনয়না বলেন, ‘‘শুনে কেঁদে ফেলেছিলাম। মনে হয়েছিল, এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি।’’