আয়রনের ঘাটতি হতে পারে আয়রনযুক্ত খাবার খেলেও? কেন? ছবি: সংগৃহীত।
ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পর থেকে অনেক মহিলার শরীরে হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করতে শুরু করে। আর ৩০ পেরোলেই শরীরে দেখা দিতে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যা। তারই মধ্যে একটি হল আয়রনের ঘাটতি। তা থেকেই দেখা দেয় ক্লান্তি, দুর্বলতা, রক্তাল্পতার সমস্যা।
ভারতে রক্তাল্পতায় ভোগা রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কৈশোর থেকেই ভারতে অসংখ্য মেয়ে এই সমস্যায় ভুগছে বলে ‘ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভের’ ২০১৯-২১ এর সমীক্ষায় প্রকাশ।
শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে লোহিত কণিকার উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া, মাথা ধরার মতো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। কী ভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে?
আয়রনের ঘাটতি যাতে না হয়, তার সহজ শর্তই হল আয়রন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা। বিভিন্ন রকম মাংস, সামুদ্রিক খাবারে আয়রন মেলে।কোনও কোনও উদ্ভিজ্জ খাবার থেকেও আয়রন মেলে। যেমন ডাল, পালংশাক, টোফু। তবে উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে প্রাপ্ত খনিজটি সহজে শরীর শোষণ করতে পারে না। সে কারণে ঠিকমতো খাবার বাছাই না করলে সমস্যা হতে পারে।
ভিটামিন সি: আয়রন জাতীয় খাবার খেলেই যে আয়রনের মাত্রা ঠিক থাকবে, তা নয়। বরং খনিজটি যাতে শরীরে সঠিক ভাবে শোষিত হয় বা তার পুষ্টিগুণ যায়, তা দেখা দরকার। এই ব্যাপারে কাজে আসবে ভিটামিন সি। বিভিন্ন রকম লেবু, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি-সহ নানা ফলে মেলে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন আয়রন শোষণে সাহায্য করে।
মেটে: মুরগি হোক বা পাঁঠা— মেটে আয়রনের অন্যতম উৎস। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন এ-সহ আরও নানা পুষ্টিগুণ মেলে এতে।
চা-কফি: আয়রনের শোষণ কমিয়ে দিতে পারে চা-কফির ট্যানিন। চা বা কফি, কোনওটাই ক্ষতিকর নয়। তবে খাবারের সঙ্গে বার বার চা-কফি পানের অভ্যাস অসুবিধা তৈরি করতে পারে।
ক্যালশিয়াম: দুধ, দই, ডিমের মতো ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারও কিন্তু আয়রনের পু্ষ্টিগুণ শোষণের জন্যই জরুরি। সুতরাং শুধু আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যথেষ্ট নয়, শরীরে খনিজের মাত্রা ঠিক রাখতে ভিটামিন সি এবং ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াও জরুরি।