পুজো শেষ। সন্ধ্যায় তা হলে স্বাস্থ্যকর কিছু খাওয়া যাক। ছবি: সংগৃহীত।
দুর্গাপুজো মানে জমিয়ে খাওয়া হবে না, তা কি হয়! উৎসব মানে কয়েকটি দিন ডায়েট বাদ। পোলাও, পাঁঠার মাংস, বিরিয়ানি, রোল, চাউমিনে রসনাতৃপ্তি।
তবে বাড়তি ক্যালোরি গত কয়েক দিনে যে শরীরে গেল, এ বার তো সেই সব ঝরানোর পালা। শরীরচর্চার পাশাপাশি আবার ক্যালোরি মেনে খাওয়া-দাওয়া।
সন্ধ্যা হলেই মন ভাজাভুজির জন্য ছটফট করছে কি? তা হলে বরং পাঁচ খাবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান।
ক্র্যাকার এবং চিজ়: সান্ধ্য খাবার হালকা হওয়াই ভাল। বেছে নিন দানাশস্য দিয়ে তৈরি ক্র্যাকার। জিনিসটা অনেকটা চিপ্সের মতো, তবে ছাঁকা তেলে ভাজা নয়। জোয়ার, রাগি, গমের আটা, সাদা তিল দিয়ে তা বানানো যায়। পছন্দের আটা নিয়ে এতে অল্প ময়ান দিন। ছড়িয়ে দিন শুকনো কড়ায় নেড়ে নেওয়া তিল। জল দিয়ে মেখে নিন। মিশ্রণটি পাতলা করে বেলে বেকিং ট্রেতে পার্চমেন্ট বা বাটার পেপারের উপর বসিয়ে দিয়ে ছুরির সাহায্য বরফি বা চৌকো করে কেটে নিন। ৩৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ১৫-১৮ মিনিট বেক করে নিলেও হবে। জিনিসটি এয়ার ফ্রায়ারেও করতে পারেন। উপর থেকে চিজ়, মশলা ছড়িয়ে সেটি গলিয়ে খেতে পারেন। মুখরোচক খাবারটি কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
মাখানা এবং বাদাম: মাখানায় ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ ভরপুর মাত্রায় মেলে। কড়াইয়ে অল্প ঘি দিয়ে কাঠবাদাম, আখরোট, মাখানা নাড়াচাড়া করে নিন। গোলমরিচ, নুন ছড়িয়ে দিন। যোগ করতে পারেন পছন্দের যে কোনও মশলাও। এটিও সন্ধের খাবার হিসাবে বেশ ভাল।
অমলেট: খিদে যদি বেশি পায়, নানা রকম সব্জি পুর হিসেবে ভরে নরম একটা অমলেট বানিয়ে নিন। সেদ্ধ করা মুরগির মাংসের টুকরো, চিজ়, সুইটকর্ন, সেদ্ধ পালংশাক— পছন্দের অনেক কিছুই পুর হিসাবে দেওয়া যায়।
হুমাস এবং সব্জির স্টিক: মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় খাবার হুমাস। কাবলি ছোলা দিয়ে তৈরি হুমাস সস্ হিসাবে খাওয়া হয়। এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর। কাবলি ছোলা সেদ্ধ করে জল ছড়িয়ে ঠান্ডা করে নিন। মিক্সারে ছোলা, নুন, ভাজা জিরেগুঁড়ো, ৫-৬টি রসুন কোয়া, তাহিনি সস (সাদা তিল দিয়ে তৈরি), অলিভ অয়েল দিয়ে ঘুরিয়ে নিন। মিহি করে বাটতে হবে। ঘন ক্রিমের মতো হুমাসের সঙ্গে লম্বা স্টিকের মতো কাটা গাজর, শসা অন্য যে কোনও সব্জি হালকা সেদ্ধ বা স্যতে করে খেতে পারেন।
ডার্ক চকোলেট এবং বাদাম: বিভিন্ন রকম বাদাম এবং বীজে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। অল্প তেল বা ঘিয়ে রোস্ট করা বাদামের সঙ্গে এক টুকরো ডার্ক চকোলেটও খাওয়া যেতে পারে। ডার্ক চকোলেট মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে।