স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নিয়ম করে স্যালাড খাচ্ছেন? কোন ভুলে শাকসব্জি, ফল খেলেও বাড়তে পারে শর্করা? ছবি: ফ্রিপিক।
ওজন কমানো বা বাড়ানো নয়, সুস্থ থাকতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় স্যালাড থাকা জরুরি, বলেন পুষ্টিবিদেরা। কারও কারও ধারণা, স্যালাড মানে ভাতের সঙ্গে খাওয়া পেঁয়াজ, শসা, গাজর, কাঁচালঙ্কা, পাতিলেবু।
তবে স্যালাড কিন্তু হতে পারে দুপুর বা রাতের মূল খাবারও। অনেকেই মেদ ঝরাতে বা শরীর সুস্থ রাখতে নিয়ম করে স্যালাড খান। কারও পছন্দ ফলের স্যালাড, কেউ আবার ভালবাসেন শাকসব্জি। চিকিৎসকেরা বলেন, স্যালাড খেলে শরীর যেমন প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, তেমনই তা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঝট করে বেড়ে যায় না।
কথাটা ঠিক হলেও পুষ্টিবিদ মিনু বালাজি এক সাক্ষাৎকারে চার বিষয়ে নজর দিতে বলেছেন। না হলে, চোরাগোপ্তা শর্করাই বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা।
১। ফল দিয়ে চাট বা স্যালাড খাওয়ার বহু দিনের। স্বাস্থ্যকর অভ্যাসও তা। কিন্তু স্যালাডে অতিরিক্ত ফল বা বেশি রসালো ফল কিন্তু হঠাৎ করে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলের প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব স্বাস্থ্যকর হলেও, ডায়াবিটিস থাকলে বা ওজন ঝরাতে গেলে বুঝে খাওয়া দরকার। যেমন, কলা, আম, আঙুরের মতো ফল থাকলেও মাপ বোঝা দরকার। বদলে বিভিন্ন ধরনের লেবু, বেরি জাতীয় ফল, পেয়ারা, নাসপাতি, আপেল তুলনামূলক বেশি রাখা যেতে পারে।
২। অনেকেই স্যালাডে শাক, সব্জি বেশি রাখেন। লেটুস থেকে বাঁধাকপি, টাটকা পালং শাক, গাজর, শসা— এমন অনেক কিছুই রাখা যায়। তবে শুধু কার্বোহাইড্রেট নয়, পুষ্টিবিদের পরামর্শ, ভরপেট স্যালাড খেতে হলে জুড়়তে হবে প্রোটিন। ডিম, মাংস, মাছ। নিরামিষ খেলে পনির, টোফু বা সেদ্ধ করা বিন্স।
৩। স্যালাড সুস্বাদু করতে ব্যবহার হয় 'ড্রেসিং'। মধু, ম্যাপল সিরাপ, মাস্টার্ড সস্, মেয়োনিজ় এমন অনেক কিছুই দেওয়া হয় স্বাদের জন্য। এতেও কিন্তু অনেক সময় কৃত্রিম শর্করা থাকে। বাজারচলতি ড্রেসিং-এ থাকতে পারে প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক। তাই চেষ্টা করা দরকার, তা যাতে বাড়িতেই তৈরি করা যায়।
৪। স্যালাডে পুষ্টির ভারসাম্য জরুরি। রোগা হতে গেলেও কিন্তু দরকার ফ্যাট। তবে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। সেই কারণে নানা রকম বাদাম এবং বীজ মেশানো প্রয়োজন। এই খাবারগুলি শরীরে ফ্যাটের চাহিদা পূরণ করে।