real vs fake ketchup

টম্যাটো সস্ আসল না কি তার মধ্যে ভেজাল রয়েছে, চিনবেন কী ভাবে?

বাজার থেকে কেনা টম্যাটো সস্ বা কেচআপে ক্ষতিকারক রাসায়নিক এবং রং মেশানো থাকতে পারে। তবে খাঁটি জিনিসটি চেনার সহজ উপায় রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৫ ১১:১৮
Share:

টম্যাটো সস্ এবং কেচাপ খাঁটি কি না, তা সহজেই চেনা সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।

বাড়ির পাশাপাশি রাস্তার ভাজাভুজির সঙ্গেও টম্যাটো সস্ বা কেচাপ ব্যবহার করে থাকেন। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এই সসের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তবে সব টম্যাটো সস্ বা কেচাপ কি খাঁটি? সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সসের মধ্যে নানবিধ রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে। মেশানো হয় লাল রংও। পুষ্টিবিদদের একাংশের মতে, রাসায়নিকের উপস্থিতিতে টম্যাটোর আসল গুণ নষ্ট হয়ে যায়। অথচ বাজার থেকে কেনা সস্ বা কেচাপটির মধ্যে কোনও ভেজাল মেশানো রয়েছে কি না, কয়েকটি পর্যবেক্ষণে শনাক্ত করা সম্ভব।

Advertisement

১) বর্ণ: সাধারণত খাঁটি টম্যাটো সসের রং গাঢ় লাল বা তার মধ্যে খয়েরি আভা মিশে থাকে। সসের লাল রংটি খুব উজ্জ্বল হলে কিন্তু সতর্ক হওয়া উচিত।

২) ঘনত্ব: খাঁটি টম্যাটো কেচআপ খুব বেশি ঘন হয় না। আবার খুব তরলও হয় না। সসের তুলনায় কেচআপের ঘনত্ব আবার একটু বেশি হতে পারে।

Advertisement

৩) গন্ধ: খাঁটি টম্যাটো সস থেকে টম্যাটোর গন্ধ পাওয়া যাবে। কোনও রকম রাসায়নিক মেশানো থাকলে সসের গন্ধ উগ্র হতে পারে। অনেক সময় তার থেকে কৃত্রিম গন্ধও পাওয়া যেতে পারে।

৪) স্বাদ: খাঁটি টম্যাটো সস্ এবং কেচাপ স্বাদে হালকা টক। স্বাদ যদি কৃত্রিম, খুব মিষ্টি বা খুব ঝাল হয়, তা হলে বুঝতে হবে তা খাঁটি নয়।

বাড়িতে সহজ পরীক্ষা

এক গ্লাস জলে এক চামচ টম্যাটো সস্ বা কেচাপ মিশিয়ে নিন। নকল বা ভেজালের ক্ষেত্রে জলের সঙ্গে সস্ মিশবে না। বরং জলের মধ্যে তা থকথকে আস্তরণ তৈরি করবে এবং গ্লাসের নীচে জমা হতে থাকবে। অন্য দিকে, খাঁটি সস্ বা কেচাপের ক্ষেত্রে জলের সঙ্গে মিশে একটি লাল মিশ্রণ তৈরি হবে।

সতর্কতা

টম্যাটো সস্ বা কেচাপ কেনার আগে বোতলের গায়ে ফুড লেবেল দেখে নেওয়া যেতে পারে। সেখানে যেন ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’র উল্লেখ থাকে। যদি তা টম্যাটো পেস্ট বা পিউরি দিয়ে তৈরি হয়, তা হলে সমস্যা নেই। সেখানে শর্করা বা স্টার্চের উল্লেখ থাকলে সেই সস্ না কেনাই ভাল। তৈরির উপকরণের মধ্যে প্রিজ়ারভেটিভ এবং কৃত্রিম ভিনিগারের উল্লেখ থাকলেও সাবধান হওয়া উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement