Cholesterol

Cholesterol Control: ৫ অভ্যাস: কমিয়ে দেবে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা

বিশেষজ্ঞদের মতে, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যতম প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনচর্চা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২২ ১৪:২৬
Share:

কিসে কমবে কোলেস্টেরল ছবি: সংগৃহীত

মানুষের দেহে মূলত দু’ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা ‘এইচডিএল’ ও ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা ‘এলডিএল’। এর মধ্যে প্রথমটি ভাল কোলেস্টেরল। আর দ্বিতীয়টিকে বলে খারাপ কোলেস্টেরল। এই খারাপ কোলেস্টেরল শরীরের ক্ষতি করে। ডেকে আনে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা। বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোক ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞদের মতে, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যতম প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনচর্চা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাব। কাজেই জীবনচর্চা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে খারাপ কোলেস্টেরল। দেখে নিন রোজের কোন কোন কাজে কমতে পারে এই ধরনের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা।

Advertisement

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

১। ভিটামিন ই: এতে থাকে টোকোট্রাইনল নামক উপাদান, যা কোলেস্টেরল হ্রাসে সহায়তা করে বলে মত অনেকের। পাশাপাশি, কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে রক্তবাহের ভিতর যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় তা দূর করতেও সহায়তা করে ভিটামিন-ই।

২। রসনায় লাগাম: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, লাল ও প্রক্রিয়াজাত মাংস কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি, বেশি তেল-মশলা ও ঘি সমৃদ্ধ খাবারও বাড়িয়ে দিতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা। উল্টো দিকে কোলেস্টেরল বাগে আনতে খেতে পারেন ওটস, কাঠবাদাম। খাওয়া যেতে পারে মাছও। তবে সব কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবারই খারাপ নয়। যেমন ডিমে কোলেস্টেরল বেশি থাকলেও সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান।

Advertisement

৩। দ্রবণীয় ফাইবার: ঢেঁকি ছাটা চাল বা ওটসের মতো দানা শস্য কাজে আসতে পারে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘ সময় পেটে থাকে, ফলে কমে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার প্রবণতাও। মনে রাখবেন স্থূলতাও কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ‘বডি মাস ইনডেক্স’ যদি ৩০ বা তার বেশি হয়ে যায়, তবে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৪। ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ: ধূমপান শুধু ফুসফুসের ক্ষতি করে না, বাড়িয়ে দেয় ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও। পাশারপাশি ধূমপানে কমে ভাল কোলেস্টেরল বা এইচডিএলের মাত্রা। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। অন্য দিকে নিয়মিত মদ্যপান করলে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায় আশঙ্কাজনক হারে। বিশেষ করে অগ্ন্যাশয় ও লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি খুবই ঝুঁকি সাপেক্ষ বিষয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে উচ্চ ট্রাইগ্লিসারইড অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের আশঙ্কা।

৫। শরীরচর্চা: নিয়মিত শরীরচর্চা কমাতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা। পাশাপাশি, শরীরচর্চা করলে নিয়ন্ত্রণে থাকে স্থুলতাও। শরীরচর্চা বলতে কিন্তু শুধু জিম নয়, নিয়মিত হাঁটা, সাইকেল চালানো ও সাঁতারের মতো অভ্যাসও সহায়তা করতে পারে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন