Dry eyes

এসি থেকে চোখের সমস্যা বাড়তে পারে, দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে কয়েকটি পরামর্শে পাবেন উপকার

দীর্ঘ ক্ষণ এসিতে থাকলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মতো চোখেরও সমস্যাও বাড়তে পারে। তাই সময়ে সতর্ক হওয়া উচিত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫ ১৫:০৯
Share:

প্রতীকী চিত্র। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বর্ষার মরসুম শুরু হয়েছে। গরম কমলেও বাড়িতে বা অফিসে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) চলছেই। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ক্ষণ এসির হাওয়ার মধ্যে থাকলে, তা থেকে চোখের একাধিক ক্ষতি হতে পারে। তাই চোখ ভাল রাখতে কী করা উচিত, জেনে নিন।

Advertisement

১) ড্রাই আইজ়: এসির মধ্যে বেশি ক্ষণ থাকলে অনেকের ‘ড্রাই আইজ়’-এর সমস্যা বাড়তে পারে। ড্রাই আইজ়ের অর্থ চোখের জল শুকিয়ে যাওয়া। ফলে চোখে চুলকানি শুরু হয়। এসিতে ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায় বলে চোখে অ্যালার্জি হতে পারে। যাঁরা কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। ড্রাই আইজ়ের সমস্যা বাড়লে, তা থেকে কর্নিয়ার উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

২) চোখের আর্দ্রতা: এসিতে দীর্ঘ ক্ষণ থাকলে ত্বক, চুল, মুখের ভিতরের অংশ এবং চোখের আর্দ্রতা কমতে শুরু করে। তার ফলে চোখের মিউকাস মেনব্রেন এই শুষ্কতার দ্বারা প্রভাবিত হয়। তার ফলে চোখে কোনও সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই বেশি ক্ষণ এসিতে থাকলে চোখ জ্বালা করতে পারে, লাল হয়ে যেতে পারে। এমনকি চোখে ব্যথাও হতে পারে।

Advertisement

৩) ঝাপসা দৃষ্টি: বেশি ক্ষণ এসিতে থাকলে, অনেক সময় দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসে। কারণ এসি চোখের জল শুকিয়ে দেয়। তার ফলে স্পষ্ট ভাবে দেখা ব্যক্তির পক্ষে কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে।

এসিতে চোখের যত্ন

১) এ ক্ষেত্রে এসিতে থাকার সময় ‘২০-২০-২০’ নীতি অনুসরণ করা যায়। অর্থাৎ, ২০ ফুট দূরত্বে কোনও বস্তুকে ২০ সেকেন্ড ধরে দেখা। ২০ মিনিট পর পর এটি করতে হবে।

২) বাড়িতে কোনও হিমিউডিফায়ার ব্যবহার করলে তা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে আর্দ্রতা বজায় রাখবে। তার ফলে চোখের জল শুকিয়ে যাবে না।

৩) সুষম আহার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে চোখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পাশাপাশি ডিজিটাল স্ত্রিনের দিকে তাকালে, চোখের পলক পড়ার গতি এবং সংখ্যা খেয়াল রাখা উচিত।

৪) এসির ব্যবহার কমানো সম্ভব না হলে, সে ক্ষেত্রে চোখে ‘ফেক টিয়ার’ ড্রপ দেওয়া যেতে পারে।

৫) এসিতে থাকার সময়ে চোখ জ্বালা করলে চোখে জলের ঝাপটা দেওয়া উচিত।

৬) বছরে অন্তত এক বার চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement