ছবি : এআই।
সকাল থেকে টানা কাজ করতে করতে দুপুরের পেরোলেই শরীর হাল ছেড়ে দেয়। রাজ্যের ক্লান্তি, অবসাদ নেমে আসে শরীরে। কোনও কাজেই মন বসতে চায় না। অফিসে, বাড়িতে বা বাড়ির বাইরে কর্মরত অনেকেই এমন সমস্যার মুখোমুখি হন। কিন্তু কিসে সমাধান সম্ভব, তা জানেন না।
এক পুষ্টিবিদের মতে, বিকেলের এই ধকল দূর করতে পারে বিশেষ একটি পানীয়। পুষ্টিবিদ রমিতা কৌর জানাচ্ছেন প্রতি দিন বিকেলে যে সময়ে রাজ্যের ক্লান্তি এসে ভর করে শরীরে, তখন এক কাপ আদা এবং তুলসীর চা খেয়ে দেখতে পারেন। এটি শরীরকে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য সতেজ রাখতে সাহায্য় করবে।
কেন তুলসী এবং আদার চা উপকারী?
মানসিক চাপ ও অবসাদ দূর করে: তুলসীতে মানসিক চাপ কমানোর ঔষধিগুণ আছে। এতে থাকা ভিটামিন সি, প্রদাহনাশক উপাদান এবং অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। আদা স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে এবং মনকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: তুলসীতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য, যা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ও জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। অন্যদিকে, আদা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ সমৃদ্ধ। এই দুটি উপাদান একসাথে মিশে সর্দি, কাশি এবং ফ্লুয়ের মতো মৌসুমী রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে।
ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখে: আদা শ্লেষ্মা বা কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, এবং তুলসী শ্বাসনালীর প্রদাহ কমায়। এটি ক্রমাগত কাশি, গলা ব্যথা এবং নাক বন্ধ হওয়ার মতো সমস্যার উপশম ঘটায়, যা শ্বাস-প্রশ্বাসকে সহজ করে এবং শরীরকে সতেজ করে তোলে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করে: আদার রস হজমের এনজাইমগুলোকে উদ্দীপ্ত করে, যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং পেট ফাঁপা ও গ্যাসের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে। তুলসী অ্যাসিডিটি কমাতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সহায়ক। হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই হালকা ও সতেজ লাগে।
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে: আদা একটি থার্মোজেনিক খাবার, যা শরীরে তাপ উৎপাদন করে। যা হজম ভাল রাখতে সাহায্য করে। তুলসী রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। দু’ক্ষেত্রেই শরীরের ঝিমিয়ে থাকা ভাব দূর হয়।
শরীরকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত করে: আদা এবং তুলসী উভয়ই শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। আদা লিভার ভাল রাখে। তুলসী রক্ত পরিষ্কার করতে ও ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করতে সহায়তা করে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে গেলে ভেতর থেকে তরতাজা ভাব অনুভব করবেন।