Glaucoma Symptoms

গ্লকোমার কারণে হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তি, কাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি?

গ্লকোমা থেকে একেবারে নিস্তার পাওয়া সম্ভব নয়। তবে যাতে আরও ক্ষতি না হয়, সে ব্যবস্থা করা সম্ভব। কী লক্ষণ দেখে সতর্ক হবেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩ ১৯:৪৬
Share:

—প্রতীকী ছবি।

দৃষ্টিশক্তি হারানোর অন্যতম কারণ গ্লকোমা। যে কোনও বয়সেই এই রোগ হানা দিতে পারে চোখে। চিকিৎসকেরা এই রোগকে ‘সাইলেন্ট থিফ’-ও বলে থাকেন। চোখের মধ্যে যে অংশ দিয়ে তরল চলাচল করে, সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তা জমে চোখের উপর বাড়তি চাপ ফেলে। বিশেষ করে অপটিক স্নায়ুতে। সেই চাপ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে। পরবর্তী কালে এই সমস্যা থেকেই বাড়ে অন্ধত্বের ঝুঁকি। প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিটা শুরু হয় চোখের পরিধির চারপাশ থেকে, তাই গ্লকোমায় আক্রান্ত রোগীদের ‘সাইড ভিশন’ নষ্ট হতে থাকে। চোখের ভিতর জল তৈরি হতে থাকে, অথচ বেরোনোর জায়গা পায় না— এর ফলেই তা দুর্বল জায়গাগুলিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। আর সেই থেকে সমস্যা বাড়ে।

Advertisement

গ্লকোমার ফলে প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিটা শুরু হয় চোখের পরিধির চারপাশ থেকে, নষ্ট হতে থাকে ‘সাইড ভিশন’। ছবি: সংগৃহীত।

দৃষ্টিশক্তি হারানোর অন্যতম কারণ গ্লকোমা। যে কোনও বয়সেই এই রোগ হানা দিতে পারে চোখে। চিকিৎসকেরা এই রোগকে ‘সাইলেন্ট থিফ’-ও বলে থাকেন। চোখের মধ্যে যে অংশ দিয়ে তরল চলাচল করে, সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তা জমে চোখের উপর বাড়তি চাপ ফেলে। বিশেষ করে অপটিক স্নায়ুতে। সেই চাপ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে। পরবর্তী কালে এই সমস্যা থেকেই বাড়ে অন্ধত্বের ঝুঁকি। প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিটা শুরু হয় চোখের পরিধির চারপাশ থেকে, তাই গ্লকোমায় আক্রান্ত রোগীদের ‘সাইড ভিশন’ নষ্ট হতে থাকে। চোখের ভিতর জল তৈরি হতে থাকে, অথচ বেরোনোর জায়গা পায় না— এর ফলেই তা দুর্বল জায়গাগুলিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। আর সেই থেকে সমস্যা বাড়ে।

গ্লকোমার মতো অসুখ সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। এই সমস্যা ধরা পড়ার পরে চিকিৎসা শুরু হলেও ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে এই রোগের সঙ্গে যুঝে ওঠা যায়।

Advertisement

কাদের গ্লকামার ঝুঁকি বেশি?

১) কারও ডায়াবিটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে গ্লকোমার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।

২) যাঁরা নিয়মিত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খান, তাঁদেরও গ্লকোমায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

৩) যাঁরা ইনহেলার ব্যবহার করেন, তাঁদেরও ঝুঁকি থাকে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার।

৪) চিকিৎসক এক বার পাওয়ার সেট করে দেওয়ার পরে সাধারণত আর এক-দেড় বছরের মধ্যে তা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে যদি মাস কয়েকের মধ্যে বার বার পাওয়ার বেড়ে যায়, তা কিন্তু গ্লকোমায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।

৫) কোনও সময়ে চোখে গুরুতর চোট-আঘাত লাগলে, পরবর্তী কালে সেখান থেকেও গ্লকোমা হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

গ্লকোমা থেকে একেবারে নিস্তার পাওয়া সম্ভব নয়, তবে যাতে আরও ক্ষতি না হয়, সে ব্যবস্থা করা যায়। সঠিক সময়ে ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে অসুখের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তার জন্য চাই সতর্কতা। তাই সমস্যা থাকলে তো বটেই, না থাকলেও বছরে অন্তত এক বার চক্ষু পরীক্ষা করানো জরুরি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন